English

15 C
Dhaka
শনিবার, জানুয়ারি ১১, ২০২৫
- Advertisement -

কঠোর পদক্ষেপ নিন: দখল-চাঁদাবাজির হাতবদল

- Advertisements -
স্বাধীনতার পর অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এর মধ্যে অনেক সরকার এসেছে, অনেক সরকার বিদায় নিয়েছে, কিন্তু দখল-চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে কেবল চাঁদাবাজির হাতবদল হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। সেই আন্দোলনের সহস্র শহীদের রক্তের দাগ না শুকাতেই ভিন্ন নাম-পরিচয়ে আবারও দখল-চাঁদাবাজি শুরু হয়ে গেছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকার গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া, বঙ্গবাজারের মার্কেট দোকান মালিক সমিতির নিয়ন্ত্রণের হাতবদল হয়েছে মাত্র। বেশির ভাগ মার্কেট কমিটি থেকে আওয়ামী লীগপন্থীদের বের করে দেওয়া হয়েছে।
বিএনপিপন্থী পরিচয়ে আরেক দল এসব মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তারা দলবল নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। নানাভাবে চলছে চাঁদাবাজি। তাদের এমন কর্মকাণ্ডে মার্কেটগুলোতে ব্যবসার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
জানা যায়, ঢাকা ট্রেড সেন্টার উত্তর, ঢাকা ট্রেড সেন্টার দক্ষিণ, পোড়া মার্কেট (গুলিস্তান ট্রেড সেন্টার), ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটের জাকের প্লাজা, নগর প্লাজা, সিটি প্লাজা, বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপণিবিতান—এই মার্কেটগুলোর মালিক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ডিএসসিসির রাজস্ব বিভাগ সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্টের পর ডিএসসিসির যেসব মার্কেট বা বিপণিবিতান আওয়ামী লীগপন্থী নেতাদের দখলে ছিল, তাঁরা আত্মগোপনে চলে যান। আবার কয়েকটি মার্কেট সমিতির নেতাদের বের করে দেয় বিএনপিপন্থী লোকজন।
এর পর থেকে মার্কেটগুলোতে দখল, চাঁদাবাজি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস পাচ্ছে না করপোরেশন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা ট্রেড সেন্টার উত্তর ও দক্ষিণের চারপাশের ফুটপাত, সিঁড়ি, সড়কের একাংশে পলিথিন দিয়ে শামিয়ানা টানিয়ে শত শত হকার জুতা, জামাকাপড়ের পসরা নিয়ে বসেছেন। এ কারণে ফুটপাতে ঠিকমতো হাঁটাচলা করা যাচ্ছে না। সেন্টারের ভেতরে ঢুকতে-বের হতেও ক্রেতাদের সমস্যা হচ্ছে। প্রতিটি দোকান থেকে দৈনিক ২০০ থেকে ৪০০ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়।
শুধু ডিএসসিসির এই কয়টি মার্কেটেই নয়, সারা দেশেই শুরু হয়েছে দখল ও চাঁদাবাজির হাতবদল। ব্যবসায়ীরাও অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। সড়কেও চলছে চাঁদাবাজি। বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি নিয়ে হামলা-মারামারির ঘটনাও ঘটছে।
আমরা আশা করি, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রত্যাশা পূরণে সরকার অতি দ্রুত দখল-চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন