English

26 C
Dhaka
সোমবার, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫
- Advertisement -

কঠোর পদক্ষেপ জরুরি: পাহাড় কাটা রোধে সাইনবোর্ড

- Advertisements -
পাহাড় কাটা আইনত নিষিদ্ধ। তার পরও পাহাড় কাটা থেমে নেই। প্রশাসনের দুর্বল নজরদারি, আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকা এবং অবৈধ যোগসাজশের কারণে অনেক স্থানে দিনদুপুরেই পাহাড় কাটা হয়। শত শত ট্রাকে করে সেই মাটি পরিবহন করা হয়, সেই মাটি বিক্রির ব্যবসা পরিচালিত হয়, কাটা পাহাড়ে হাউজিং হয়, প্লট বিক্রি করা হয়—আরো অনেক কিছুই চলে প্রায় বিনা বাধায়।
দেশে সর্বাধিক পাহাড় রয়েছে বৃহত্তর চট্টগ্রাম এলাকায়। চট্টগ্রাম মহানগরীতেও রয়েছে অনেক পাহাড়। মহানগরীর এসব পাহাড় রক্ষায় সম্প্রতি একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রতিটি পাহাড়ের পাদদেশে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি সংবলিত সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।
জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পাহাড় কাটা হলে আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবার কি চট্টগ্রামের পাহাড় কাটা বন্ধ হবে?
সারা দেশেই পাহাড় কাটার বহু সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে। তাদের পেছনে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি রয়েছেন। এর সঙ্গে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্যিক স্বার্থ জড়িয়ে আছে।
প্রশাসনেরও অনেকের সঙ্গে তাদের সখ্য থাকে। তাই এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে তারা সংশ্লিষ্ট আইনটি সম্পর্কে জ্ঞাত নয়। আইনে পাহাড় কাটা নিষিদ্ধ এবং এটি যে শাস্তিযোগ্য অপরাধ, সেটি জেনেশুনেই তারা বছরের পর বছর এই অবৈধ কাজটি করে চলেছে।
অনেকের বিরুদ্ধে মামলাও চলমান রয়েছে। তাই ধারণা করা যায় যে জেলা প্রশাসনের সাইনবোর্ড তাদের সচেতনতা আর খুব একটা বাড়াতে পারবে না।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, এসব চক্র এতটাই শক্তিশালী যে বন বিভাগের লোকজন তাদের রীতিমতো ভয় পায়। তাদের নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনীও থাকে।
কেবল চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড় কাটা নিয়েই এর আগে বেশ কিছু গবেষণা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের ২০১১ সালের গবেষণায় দেখা যায়, বায়েজিদ বোস্তামী, খুলশী, পাহাড়তলী, মতিঝর্ণা, ষোলশহর ও ফয়’স লেক এলাকায় সর্বাধিক পাহাড় কাটা হয়েছে।
১৯৭৬ সাল থেকে পরবর্তী ৩২ বছরে ৮৮টি পাহাড় সম্পূর্ণ এবং ৯৫টি আংশিক কাটা হয়। ২০১৫ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় উঠে এসেছে, নগরীতে থাকা ২০০ পাহাড়ের মধ্যে ১০০টি পাহাড় কেটে আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে।
প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামীতে পাহাড় কেটে প্লট বানিয়ে বিক্রি করা হয়েছে।
সেসব প্লটে পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগও দেওয়া হয়েছে। পাহাড় কেটে রাস্তা বানানো হয়েছে। পাহাড় কাটা হয়েছে আকবর শাহ, খুলশী এলাকায়ও।
পাহাড় কাটার এই মহোৎসব ঠেকাতে আইনের প্রয়োগ খুব কমই হয়েছে। সে ক্ষেত্রে এই সাইনবোর্ড পাহাড় কাটা কতটা ঠেকাতে পারবে বলা মুশকিল!
পাহাড় কাটা ঠেকাতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা। সাইনবোর্ডের পাশাপাশি আমরা প্রশাসনের যথাথথ উদ্যোগ দেখব বলেও আশা করি।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন