English

25 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ১৩, ২০২৫
- Advertisement -

কঠোর আইন হোক: পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা

- Advertisements -
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে একটি প্রধান বাধা হিসেবে চিহ্নিত করা হয় মুদ্রাপাচারকে। মুদ্রাপাচার রোধে সরকারের বেশ কিছু বিশেষায়িত সংস্থা রয়েছে। কিন্তু বিগত দিনগুলোতে কী হয়েছে? গত দেড় দশকে টাকা পাচারের স্বর্গরাজ্য ছিল বাংলাদেশ। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসনের অভাব আর প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির প্রশ্রয়ে এ দেশের সম্পদ ও টাকা খুব সহজেই পাচার হয়েছে ভিনদেশে।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, বিদেশে পাচার হওয়া টাকা দ্রুত ফেরত আনতে শিগগিরই সরকার একটা বিশেষ আইন করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। গত সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেছেন, ‘পাচার করা টাকা কিভাবে আনা যায়, সেটা ত্বরান্বিত করতে একটি বিশেষ আইন শিগগিরই করা হবে। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে যেসব বিদেশি সাহায্য করছেন, তাঁরাও এ ধরনের আইনের চাহিদার কথা বলছেন। সেই অনুযায়ী আইনটি করা হচ্ছে।
আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই আইন দেখা যাবে বলে প্রেস সচিব উল্লেখ করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, টাকা ফেরত আনার প্রচেষ্টা কত দূর এগিয়েছে, সেটার ওপর একটা বড় সভা হয়েছে। সভায় নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেই সভায় অনেক সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আইনি সহায়তা পেতে অনেক ল ফার্মের সঙ্গে সরকার ও টাস্কফোর্স কথা বলছে। ল ফার্মের সঙ্গে অ্যাগ্রিমেন্ট করতে এ আইন সাহায্য করবে।
আগের সরকারের সময় অর্থ পাচার হওয়া নিয়ে গুরুতর অভিযোগ ওঠা এবং ব্যাপক আলোচনা হওয়া সত্ত্বেও এই অপরাধ বন্ধ করতে সেই সরকারকে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে আমরা দেখিনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনা ও অর্থপাচার রোধে বহুমুখী উদ্যোগ নিচ্ছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আগামী দিনে যাতে অর্থপাচার রোধ করা যায় সে জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউ ও এনবিআরের সিআইসিকে কাজ করতে হবে।

 

অর্থনীতিবিদদের মতে, যেহেতু অর্থপাচার হয় বাণিজ্যের আড়ালে, সেহেতু এনবিআরের ভূমিকা বেশি। যে টাকা দেশের বাইরে চলে গেছে, সেটা ফেরত আনার চেয়ে যে টাকাটা চলে যেতে পারে, সেটা আটকানো বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও সহজ। যেসব সংস্থা অর্থপাচার রোধের সঙ্গে যুক্ত তাদের তৎপরতা বাড়াতে হবে। টাকা ফেরতের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ যদি দৃশ্যমান হয়, তাহলে মানুষ একটা ভরসা পাবে। খুব দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে।

অতীতে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার ব্যাপারে গণমাধ্যমে প্রচুর লেখালেখি হয়েছে। কিন্তু পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে দেশের সম্পদ ও মুদ্রাপাচার। দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে এই ক্ষতিকর প্রবণতা। পাচারকৃত সম্পদ ও মুদ্রা পুনরুদ্ধারে আমাদের আরো কঠোর হতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন