English

27 C
Dhaka
রবিবার, এপ্রিল ১৩, ২০২৫
- Advertisement -

কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিন: বিদেশে কর্মী প্রেরণে দুর্নীতি

- Advertisements -
‘এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি’। সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের দুর্নীতির খতিয়ানে চোখ রাখলেই কথাটির সত্যতা পাওয়া যাবে। বিদেশের মাটিতে কাজ করতে চাওয়া শ্রমিকদের কষ্টের টাকা লুটে নিয়েছেন তিনি।লুটের অর্থ বিদেশে পাচার করে কাটাচ্ছেন বিলাসী জীবন। দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে এই তথ্য।
Advertisements

এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করে দেশে-বিদেশে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল।

Advertisements

মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির নামে এক হাজার ১২৮ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার টাকা লোপাট ও পাচারের মূল হোতা ছিলেন সাবেক এই অর্থমন্ত্রী। এ ছাড়া পারিবারিক সদস্যদের যোগসাজশেও এক হাজার ১৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং মানি লন্ডারিংও করেছেন, যা দেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান খাতের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির বাজার ২০০৯ সালে বন্ধ হয়ে ফের ২০১৫ সালে চালু হলে কর্মী পাঠানোর কাজ পায় ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সি। সে সময় থেকেই অর্থ লুটের খেলায় মেতে ওঠেন এই ১০ এজেন্সির মূল হোতা ক্ষমতায় থাকা লোটাস কামাল।পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী সে সময় মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর জন্য জনপ্রতি ৩৭ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছিল সরকার। কিন্তু সিন্ডিকেটগুলো প্রত্যেক কর্মীর কাছ থেকে চার লাখ টাকা করে নিয়েছে।

এই ধরনের দুর্নীতি দেশের অর্থনীতি ও প্রবাসী কর্মীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের ফলে অনেক শ্রমিক ঋণের বোঝা নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন, যা তাঁদের আর্থিক স্থিতিশীলতায় বাধা সৃষ্টি করছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং বিদেশি শ্রমবাজারে আমাদের অবস্থান দুর্বল হচ্ছে।

দুর্নীতির এই চক্র ভেঙে ফেলার জন্য সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা ভীষণ জরুরি। রিক্রুটিং প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে।

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সব ধরনের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। বিদেশে কর্মসংস্থানের বিষয়ে শ্রমিকদের সঠিক তথ্য প্রদান এবং তাঁদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা প্রয়োজন, যাতে তাঁরা প্রতারণার শিকার না হন। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারি এবং প্রয়োজনীয় নীতিমালা সংস্কার করে দুর্নীতির সুযোগ কমাতে হবে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান খাত দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান স্তম্ভ। এই খাতের সুষ্ঠু বিকাশ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে দুর্নীতির মূলোৎপাটন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করা আবশ্যক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই সংকট মোকাবেলা করা, যাতে প্রবাসী শ্রমিকরা ন্যায্য সুবিধা পান এবং দেশের সুনাম অক্ষুণ্ন থাকে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন