একই সঙ্গে দুটি সুখবর। বাংলাদেশ ব্যাংকের লেনদেন ভারসাম্যের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যাচ্ছে, চলতি অর্থবছরে পাঁচ মাসে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ১.৯৮ বিলিয়ন ডলার বা ২০ শতাংশ। হালনাগাদ তথ্য বলছে, এ সময়ে চলতি হিসাবেও ঘাটতি কমে ২২ কোটি ডলারে নেমেছে, আগের অর্থবছর একই সময়ে যা ছিল ৩৯৩ কোটি ডলার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রপ্তানি বেড়েছে ১০.১০ শতাংশ।
রপ্তানি বহুমুখীকরণের প্রধান শর্ত পণ্য বহুমুখীকরণ। পণ্য বহুমুখীকরণ ও রপ্তানিযোগ্য পণ্যের নতুন বাজার খুঁজে বের করতে বা নতুন বাজার সৃষ্টি করতে আমাদের বৈদেশিক মিশনগুলোকে কাজ করতে হবে। বিকল্প ও নতুন বাজার খুঁজে বের করতে হবে।
নানা প্রতিকূলতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও রেমিট্যান্স বেড়েছে। আমাদের অর্থনীতি যখন নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে, তখন নতুন আশা জাগাচ্ছে রেমিট্যান্স বা প্রবাস আয়ের প্রবাহ। প্রবাস আয় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, প্রবাস আয় বাড়াতে ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ প্রেরণ আরো সহজ, দ্রুত ও আকর্ষণীয় করতে হবে।
রেমিট্যান্স ও রপ্তানি সাফল্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে—এটি আমাদের জন্য বড় সুখবর। আমাদের এখন রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে। বিকল্প ও নতুন বাজার খুঁজে বের করতে হবে। রেমিট্যান্সপ্রবাহ আরো বাড়াতে সরকারকে নানামুখী উদ্যোগ নিতে হবে।