আহত হয় দুই শতাধিক মানুষ। গত ৫ মার্চ মিরপুর রোডের সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় তিনতলা একটি ভবন বিস্ফোরণে আংশিক ধসে পড়ে। গত ৭ মার্চ মঙ্গলবার রাজধানীর সিদ্দিকবাজারের নর্থ সাউথ রোডের একটি সাততলা ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে।
এর আগে ২০১০ সালে নিমতলী কেমিক্যাল ওয়্যারহাউসের অগ্নিকাণ্ড, ২০১২ সালে তাজরীন গার্মেন্টের অগ্নিকাণ্ড, ২০১৯ সালে চুড়িহাট্টা কেমিক্যাল ডিপোর অগ্নিকাণ্ড, ২০২০ সালে নারায়ণগঞ্জ মসজিদে গ্যাস লিকেজ বিস্ফোরণ, ২০২১ সালে নারায়ণগঞ্জ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ফ্যাক্টরির অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
ঈদের আগে পুরান ঢাকার বঙ্গবাজার ও নবাবপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনায় নাশকতার সন্দেহ করছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক। অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনাগুলো তদন্ত করে দেখতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি। খতিয়ে দেখাটা অতীব প্রয়োজন। একের পর এক কেন আগুন লাগছে।
এর সঙ্গে আরো একটি বিষয় দেখা দরকার। সেটি হচ্ছে ইনস্যুরেন্সের বিষয়। এজাতীয় সব দোকান অবশ্যই বীমার আওতায় আনতে হবে। সেই সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। আধুনিক বিশ্বে আগুনের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ড্রোন, ফায়ার বল, রোবটিকস ব্যবহার করা হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ হওয়ার নয়। অনেকেই পথে বসে গেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, এ ধরনের আগুনের ঘটনা কী করে ঘটল? এসব মার্কেটে গাদাগাদি করে কাপড় রাখা হয়। কিন্তু তার পরও প্রশ্ন, এটি অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনা নয়তো? এমন প্রশ্ন কি উড়িয়ে দেওয়া যাবে? কাজেই উৎস সন্ধান জরুরি।