কিন্তু বাংলাদেশে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষার অবস্থা কী? আমরা কি তাদের মাতৃভাষার প্রতি যথেষ্ট সম্মান দেখাতে পারছি? সেসব ভাষা রক্ষায় রাষ্ট্র কি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে পারছে?
শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বেই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর মাতৃভাষা অত্যন্ত অবহেলিত ও বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর তথ্য অনুযায়ী, গড়ে প্রতি ১৪ দিনে পৃথিবী থেকে একটি করে মাতৃভাষা হারিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের তিনটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে গেছে। এসব নৃগোষ্ঠীর সদস্যরাও এখন তাদের মাতৃভাষার কথা স্মরণ করতে পারে না।
বাংলাদেশে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর ভাষা নিয়ে কাজ করে সামার ইনস্টিটিউট অব লিঙ্গুইস্টিকস (এসআইএল) নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৫টি স্থানীয় নৃগোষ্ঠীর ভাষার ‘ল্যাঙ্গুয়েজ ম্যাপিং’ সম্পন্ন করেছে। তারা মোট ২০টি নৃগোষ্ঠীর ভাষা নিয়ে গবেষণা করছে। তারা তাদের ফলাফলগুলো সরকারকে অবহিত করবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করবে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটও এ লক্ষ্যে কাজ করছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ রয়েছে। কিন্তু সে সবের সফল বাস্তবায়ন হওয়া প্রয়োজন।
শুধু ভাষা নয়, অনেক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অস্তিত্বই আজ বিপন্ন। জীবনযুদ্ধে বিপর্যস্ত এসব মানুষের পক্ষে নিজস্ব ভাষার উন্নয়নে কিছু করা প্রায় অসম্ভব। তাই এসব নৃগোষ্ঠী ও তাদের ভাষা রক্ষায় রাষ্ট্রকেই উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।