তদুপরি আমদানি করা তেল পরিবহনে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। সময়ও লাগছে অনেক বেশি। এমন পরিস্থিতিতে কম খরচে নতুন উৎস থেকে ডিজেল আমদানির পথ খুঁজছিল সরকার। ভারত থেকে পাইপলাইনে ডিজেল আমদানি সেই বিকল্প উৎস হিসেবেই কাজ করবে। আগে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আসত মূলত রেলপথে। বছরে আমদানি করা তেলের পরিমাণ ছিল ৬০ থেকে ৮০ হাজার টন, যা আমাদের জ্বালানি চাহিদায় বিশেষ কোনো ভূমিকাই রাখত না। আবার জাহাজে আসা তেল চট্টগ্রাম বা মোংলা থেকে সড়ক বা নদীপথে উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত নিয়ে যেতেও অনেক সময় ও অর্থের প্রয়োজন হতো। এখন তা অনেক সাশ্রয়ী হবে।
উভয় দেশ শুধু নয়, নেপাল, ভুটানসহ উপ-আঞ্চলিক সমৃদ্ধির জন্যও পারস্পরিক সহযোগিতা একান্তভাবে প্রয়োজন। বাংলাদেশ ভারত থেকে বর্তমানে এক হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে। ভারতের ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া চলছে।
অন্যদিকে সমুদ্রসংযোগহীন দেশ দুটি ভারতীয় ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহারে আগ্রহী। ভারত বাংলাদেশে ট্রানজিট সুবিধা পাচ্ছে। উপ-আঞ্চলিক জোট বিবিআইএনভুক্ত চারটি দেশই অদূর ভবিষ্যতে উন্নততর কানেক্টিভিটির আওতায় আসবে, এমনটিই আশা করা হচ্ছে। এতে সব কটি দেশই ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। বর্তমান যুগে একা চলার কিংবা দ্বার রুদ্ধ করে বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই।
আমরা আশা করি মৈত্রী পাইপলাইনের মতো অদূর ভবিষ্যতে আরো অনেক দৃষ্টান্ত স্থাপিত হবে। কানেক্টিভিটির প্রতিটি স্তম্ভ ক্রমান্বয়ে আরো শক্তিশালী হবে। উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা আরো বাড়াতে দেশগুলোর মধ্যে থাকা সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমাধান করতে হবে।