বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবসে সুখবর। জামদানি, ইলিশ ও ক্ষীরশাপাতি আমের পর এবার ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে নিবন্ধন পেল ঢাকাই মসলিন, রাজশাহীর সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি, দিনাজপুরের কালিজিরা, কাটারিভোগ ও বিজয়পুরের সাদা মাটি। ফলে এগুলোও বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে সারা বিশ্বে স্বীকৃতি পেল।
ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন সংক্ষেপে জিআই হচ্ছে কোনো সামগ্রীর ব্যবহার করা বিশেষ নাম বা চিহ্ন। এই নাম বা চিহ্ন নির্দিষ্ট সামগ্রীর ভৌগোলিক অবস্থিতি বা উৎস অনুসারে নির্ধারণ করা হয়। ভৌগোলিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সামগ্রী নির্দিষ্ট গুণগত মানদণ্ড বা নির্দিষ্ট প্রস্তুত প্রণালী অথবা বিশেষত্ব নিশ্চিত করে।
ভৌগোলিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিভিন্ন সামগ্রী নির্দিষ্ট অঞ্চলটিতে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করার অধিকার ও আইনি সুরক্ষা প্রদান করে। বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যগুলোকে নিবন্ধন দিতে সরকার ২০১৩ সালে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন করেছে। ২০১৫ সালে এ আইনের বিধিমালা তৈরি হয়।
এরপর জিআই পণ্যের নিবন্ধন নিতে আহ্বান জানায় পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর, ডিপিডিটি। বাংলাদেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক সামগ্রী হিসেবে জামদানি স্বীকৃতি পায় ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর। ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট ডিপিডিটি জাতীয় মাছ ইলিশকে বাংলাদেশি পণ্য হিসেবে বিশ্ব স্বীকৃতি অর্জনের কথা ঘোষণা করে। এর ফলে ইলিশ বাংলাদেশের দ্বিতীয় জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হয়।
২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি ক্ষীরশাপাতি আমকে বাংলাদেশের তৃতীয় জিআই পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর মসলিনকে বাংলাদেশের চতুর্থ জিআই পণ্য বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এবার ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) হিসেবে নিবন্ধন পেল ঢাকাই মসলিন, রাজশাহীর সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি, দিনাজপুরের কালিজিরা, কাটারিভোগ ও বিজয়পুরের সাদা মাটি। ফলে এগুলোও বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে সারা বিশ্বে স্বীকৃতি পেল।
বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে এই স্বীকৃতি অবশ্যই আনন্দের। সারা বিশ্বে আমাদের নিজস্ব পণ্য হিসেবে এসব পণ্য স্বীকৃত হবে। এসব পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে বিপণন করা গেলে ব্র্যান্ড বাংলাদেশ নতুন পরিচয়ে পরিচিত হবে।