পাবলিক বা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত মেধাবী শিক্ষার্থীরাই ভর্তির সুযোগ পান। কিন্তু এমন অনেক শিক্ষার্থী আছেন, যাদের পারিবারিক অবস্থা সচ্ছল নয়। মেসে থাকা এবং রিকশায় বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করার প্রয়োজন হয় অনেকের পক্ষেই তা জোগাড় করা সম্ভব হয় না।
তাদের জন্য রয়েছে ৯৭টি হল। এসব হলে আবাসিক সুবিধা রয়েছে ৪৯ হাজার ৪২৭ জনের। অর্থাৎ ৫৫ শতাংশ ছাত্রীর আবাসিক সুবিধা নেই। অন্যদিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রদের সংখ্যা এক লাখ ৮২ হাজার ৮৬৭। তাদের জন্য ১৫৪টি হলে ৬৮ হাজার ৫৯৯ জনের আবাসিক সুবিধা রয়েছে। অর্থাৎ ৬৩ শতাংশেরই হল সুবিধা নেই।
জানা যায়, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন, তাদের ৬২ শতাংশই মেয়ে। কিন্তু ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের হলের সংখ্যা ও আবাসিক সুবিধা কম। ফলে বাধ্য হয়ে তাদের মেসে উঠতে হয়।
আমরা চাই, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবাসিক সংকট দূর করার উদ্যোগ নেওয়া হোক। বিশেষ করে, মেয়ে শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসিক সুযোগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।