তারা সেগুলো নিয়ে কোথায় ফেলবে?
বেশির ভাগ শহর বা পৌরসভায় বর্জ্য ফেলার জন্য নিজস্ব নির্ধারিত স্থান নেই। কিছুদিন এক জায়গায় ফেলছে আবার কিছুদিন অন্য জায়গায় ফেলছে। অনেক সময় নিচু জায়গা বা জলাভূমিতে ফেলে সেগুলো ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। রাজধানী ঢাকাসহ অনেক বড় শহরেও নদী-খাল ভরাট হওয়ার একটি বড় কারণ এই গৃহস্থালি বর্জ্য। আবার স্তূপ করা বর্জ্য বৃষ্টিতে ভিজে পচে-গলে দুর্গন্ধ ছড়ায়। শুষ্ক মৌসুমে স্তূপ করা বর্জ্য আগুন দিয়ে পোড়ানোর চেষ্টা করা হয়। সেই ধোঁয়া ক্যান্সারসহ নানা রকম অসুখের কারণ হয়।
জানা যায়, টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের রাবনা বাইপাস রাস্তার পাশে রয়েছে বড়সড় ময়লার স্তূপ। পৌরসভার ময়লাবাহী ভ্যানগুলো শহরের ময়লা কুড়িয়ে এনে এখানে ফেলছে। অথচ জেলার উত্তরের ছয় উপজেলার মানুষ এই পথ দিয়েই শহরে যাতায়াত করে। যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা দুর্গন্ধ সহ্য করতে না পেরে নাকে রুমাল চাপা দেয়।
ময়লার স্তূপে অনেক মৃত প্রাণীও পড়ে থাকে এবং সেগুলো থেকে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়ায়। কাগমারী শ্মশানঘাটের উত্তর পাশেও রয়েছে আরেকটি ময়লা ফেলার স্থান। নাগরপুরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ এই পথ ব্যবহার করে। মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি এম এম আলী কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এ পথেই চলাচল করে।
টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র বলছেন, জমির অভাবে স্থায়ী ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। জেলা প্রশাসক আশ্বাস দিয়েছেন, শিগগিরই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমরা আশা করি, টাঙ্গাইল পৌরসভার কয়েক লাখ বাসিন্দা শিগগিরই এই দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবে। পাশাপাশি সারা দেশের ছোট-বড় সব শহরেই আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিতে হবে।