গত শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন চট্টগ্রামের চিকিৎসকরা। তাঁদের কর্মবিরতির কারণে দুর্ভোগে পড়তে হয় চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের। অনেককে ফিরে যেতে হয়।
এক সপ্তাহ আগে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় দায়িত্বরত চিকিৎসককে মারধর করে রোগীর স্বজনরা।
চিকিৎসক নেতারা বলছেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন চিকিৎসকরা। বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে এসব হামলা চলছে।
চিকিৎসকরা যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন, তাহলে ভালো চিকিৎসাসেবা আশা করা যায় না। এর ফলে রোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, ভেঙে পড়বে চিকিৎসাব্যবস্থা।
চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। কারণ রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরি হলে যেকোনো রোগের চিকিৎসা সহজ হয়ে যায়।
কিন্তু আমরা দেখি, রোগীর মৃত্যুর পর অনেক সময় আবেগবশত, কখনো বা বোঝার ভুল থেকে অনেক স্বজন তাণ্ডব চালায়।
আমাদের চিকিৎসাব্যবস্থা এমনিতেই নাজুক। পর্যাপ্ত হাসপাতাল নেই। প্রয়োজনীয় ডাক্তার ও নার্স নেই। এ অবস্থায় আমাদের সবাইকে পরস্পরের প্রতি সহনশীল আচরণ করতে হবে।