English

32 C
Dhaka
শনিবার, জুলাই ৬, ২০২৪
- Advertisement -

আগাম ব্যবস্থা নিন: ঢাকার বাইরেও ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে

- Advertisements -
Advertisements

বর্ষা এসে গেছে। রাজধানীতে তেমন বৃষ্টি না হলেও বাইরের অনেক স্থানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বর্ষার সঙ্গে যে আশঙ্কাটি নাগরিকদের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করছে, তা হলো ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার উৎপাত ও ডেঙ্গু।

Advertisements

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, গত কয়েক বছরে ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

চলতি বছর গত শুক্রবার পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে তিন হাজার ৫৪৭ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে এক হাজার ২৬৯ জন এবং ঢাকার বাইরে দুই হাজার ২৭৮ জন। চলতি বছর প্রথম ছয় মাসে ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ৬৫ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, জুলাই শেষে ডেঙ্গুর প্রকোপ চূড়ায় পৌঁছাবে।
বাংলাদেশে ডেঙ্গুর ইতিহাসে রেকর্ড বছর ছিল ২০২৩ সাল। সরকারি হিসাব মতে, ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট দুই লাখ ৪৩ হাজার ৭৫৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় এবং মারা যায় ৮৫৩ জন। আর কেবল ২০২৩ সালেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন, মৃত্যু হয় এক হাজার পাঁচজনের।বিজ্ঞানীরা অনেক আগে থেকেই সাবধান করে আসছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের পরিমাণ দ্রুত বাড়বে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হবে না, বরং অবনতির আশঙ্কা বেশি। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে একসঙ্গে সারা দেশে কাজটা করতে হবে বলে মনে করেন তাঁরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের তথ্য মতে, চলতি বছর ঢাকার বাইরে ৮৫ শতাংশ রোগী তিন বিভাগে। সবচেয়ে বেশি ৯৮০ জন আক্রান্ত হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। এই বিভাগের চট্টগ্রাম, চাঁদপুর ও কক্সবাজার জেলায় সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া গেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছর ডেঙ্গুর মৌসুম শুরু হবে জুলাইয়ের শেষে আগস্টের শুরুতে। যারা আক্রান্ত হবে, তাদের ঝুঁকি অনেক বেশি। তাঁদের মতে, ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু রোগী বাড়লেও কার্যকর নজরদারি নেই। নজরদারি বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি প্রদান, মশক নিধন কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং নাগরিকদের সচেতনতা প্রয়োজন।
ডেঙ্গু ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আগেই আমাদের সাবধান হতে হবে। পর্যাপ্ত উদ্যোগ নিতে হবে। সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সরকার, স্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রশাসনকে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে। কার্যকর ওষুধ ছিটাতে হবে। মশার বংশবিস্তার রোধে নাগরিকদের সম্পৃক্ত করতে হবে। মশার প্রজননস্থলগুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন