গাঁজা, চরস, এলএসডি বা পুরনো অন্যান্য মাদক তো আছেই। আফিমের বড় বড় চালানও ধরা পড়ছে।দেশে মাদকাসক্তি যেমন বাড়ছে, তেমনি লাভজনক মাদক বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে নানা ধরনের সিন্ডিকেট বা অপরাধচক্র। এসবের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, আমলা, এমনকি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীরও অনেকে।
পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, অনেক এলাকায় প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় মাদকের রীতিমতো হাট বসে। মাদক এত সহজলভ্য হওয়ায় এখন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও আসক্ত হয়ে পড়ছে। ফলে দেশব্যাপী অভিভাবকরা এক ধরনের আতঙ্কে ভুগছেন।
মাদক নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামা জরুরি হয়ে উঠেছে। মাদকের অনুপ্রবেশ রোধ করা, মাদক পরিবহন, কেনাবেচা, সংরক্ষণ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, অর্থলগ্নীকরণ, পৃষ্ঠপোষকতাসহ সংশ্লিষ্ট সব অপরাধ দমনে আরো কঠোর হতে হবে।
সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মসজিদের ইমাম, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, এনজিও, সামাজিক সংগঠন, সুধীসমাজের প্রতিনিধিসহ নানা স্তরের মানুষকে এই প্রতিরোধে সম্পৃক্ত করতে হবে। অপরাধীদের বিচারকাজ দ্রুততর করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। ব্যাপক ভিত্তিতে ডোপ টেস্ট চালু করতে হবে। মাদকাসক্তদের উপযুক্ত চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
বাংলাদেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা, বয়সভিত্তিক আসক্তের সংখ্যা, মাদকজনিত অসুস্থতা ও মৃত্যু কোনো কিছুরই সঠিক বা নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান নেই। ধারণা করা হয়, মাদকাসক্তের সংখ্যা কোটি ছাড়িয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যাও কম নয়। বেশির ভাগ আসক্তই কর্মক্ষমতাহীন ও সমাজের বোঝা। টেকসই অগ্রগতির জন্য এই ধ্বংসযাত্রা রোধ করতেই হবে।