এ অবস্থায় আইজিপি সারা দেশে চলমান বিশেষ অভিযান আরো জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।
রাজধানীতে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটেছে মোহাম্মদপুর এলাকায়, বিশেষ করে সেখানকার জেনেভা ক্যাম্প ও সংলগ্ন এলাকায়। জানা যায়, মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এলাকার বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের ঘটনা ঘটেই চলেছে। সামপ্রতিক সময়ে সন্ত্রাসী হামলায় সেখানে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছে।
যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে আটক করেছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, সোমবার মধ্যরাতে মোহাম্মদপুর ও সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানায়, এ সময় বারুদের গন্ধ পাওয়া গেছে। কিন্তু ধোঁয়ার পেছনের কারণ জানা যায়নি।
শুধু ঢাকায় নয়, ঢাকার পাশে গাজীপুর ও সাভারে অপরাধ কর্মকাণ্ড ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকার নিউ মার্কেট নামক একটি শপিং মলের সামনে থেকে আরশাদুজ্জামান নামের এক ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, ছিনতাইকারীরা তাঁকে হত্যা করে টাকা-পয়সা ও মোবাইল সেট নিয়ে গেছে। গাজীপুরের শ্রীপুরের বরমী বাজার এলাকায় সোমবার রাতে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।সোমবার চট্টগ্রামের চন্দনাইশে এক গৃহবধূকে খুন করা হয়। সোমবার রাতের কোনো এক সময় সুনামগঞ্জ শহরের এক বাসায় ঢুকে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার রাত ১০টার দিকে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় রাস্তার পাশ থেকে এক অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, তিনি ছিনতাইয়ের শিকার। সারা দেশে প্রতিদিনই এমন অনেক ঘটনা ঘটছে।মানুষ স্বস্তি চায়। নিরাপদে মানসম্মান নিয়ে বাঁচতে চায়। তাদের সেই পরিবেশ দেওয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সারা দেশে পুলিশি কর্মকাণ্ড দ্রুত স্বাভাবিক করতে হবে। যৌথ অভিযানে মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে। এর পরিধি আরো বাড়াতে হবে।