English

27 C
Dhaka
রবিবার, এপ্রিল ১৩, ২০২৫
- Advertisement -

অবিলম্বে হামলা বন্ধ করতে হবে: ফিলিস্তিনে গণহত্যার তীব্র প্রতিবাদ

- Advertisements -
বিশ্বজনমত উপেক্ষা করে ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। নারী-শিশুসহ এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির। আর ইসরায়েলের এই বর্বরতাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ফলে ইসরায়েল আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
ইসরায়েলের এই গণহত্যার প্রতিবাদ জানাচ্ছে সারা দুনিয়ার শান্তিকামী মানুষ। বিশ্বব্যাপী ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে বাংলাদেশেও। গত সোমবার রাজধানী ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশেই ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়েছে। ‘নো ওয়ার্ক নো স্কুল আনটিল জেনোসাইড স্টপ’ কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে রাজধানীসহ দেশের প্রায় প্রতিটি জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে।

শিক্ষার্থী ছাড়াও সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই বিক্ষোভে অংশ নেয়।

বিক্ষোভ থেকে অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধ করার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি ইসরায়েলি পণ্য বর্জনেরও ডাক দেওয়া হয়।

ইসরায়েল গাজায় শুধু হামলাই করছে না, মানবিক সহায়তা কর্মসূচিও বন্ধ করে রেখেছে।

ঠিকমতো খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানো যাচ্ছে না। চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। ফলে গাজায় রীতিমতো মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের দখলদার বাহিনীর অব্যাহত গণহত্যা এবং চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
গত সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, গত মাসে একতরফাভাবে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে চলমান সামরিক হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। 

গাজায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানো বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। স্পষ্টতই ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আবেদনের তোয়াক্কা করেনি, বরং ক্রমবর্ধমানভাবে তীব্র হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েলকে অবিলম্বে সব সামরিক অভিযান বন্ধ, সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে তার দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনি জনগণের সব ন্যায্য অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমানা অনুসারে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে।

শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা দুনিয়ায়ই ইসরায়েলি গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানানো হচ্ছে। বিক্ষোভ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে, এমনকি খোদ ইসরায়েলেও। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা করছে না। এমনকি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকেও আমলে নেওয়া হচ্ছে না।

তাই বাংলাদেশে যে বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়েছে, তা অত্যন্ত যুক্তিপূর্ণ ও সময়োপযোগী। কিন্তু এই সুযোগে কিছু কিছু মানুষ ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে কেএফসি, বাটার শোরুমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে, ভাঙচুর করেছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা মনে করি, ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ভবিষ্যতেও যেসব কর্মসূচি পালিত হবে, সব কর্মসূচিই হতে হবে শান্তিপূর্ণভাবে।

আমরা চাই ইসরায়েল অবিলম্বে গাজায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের গণহত্যা বন্ধ করবে। মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, ফোরাম ও দেশ—সবাইকে ইসরায়েলের বর্বর হামলার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে, কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন