শিক্ষার্থী ছাড়াও সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই বিক্ষোভে অংশ নেয়।
বিক্ষোভ থেকে অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধ করার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি ইসরায়েলি পণ্য বর্জনেরও ডাক দেওয়া হয়।
ইসরায়েল গাজায় শুধু হামলাই করছে না, মানবিক সহায়তা কর্মসূচিও বন্ধ করে রেখেছে।
গাজায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানো বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। স্পষ্টতই ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আবেদনের তোয়াক্কা করেনি, বরং ক্রমবর্ধমানভাবে তীব্র হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েলকে অবিলম্বে সব সামরিক অভিযান বন্ধ, সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে তার দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনি জনগণের সব ন্যায্য অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমানা অনুসারে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে।
শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা দুনিয়ায়ই ইসরায়েলি গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানানো হচ্ছে। বিক্ষোভ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে, এমনকি খোদ ইসরায়েলেও। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা করছে না। এমনকি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকেও আমলে নেওয়া হচ্ছে না।
তাই বাংলাদেশে যে বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়েছে, তা অত্যন্ত যুক্তিপূর্ণ ও সময়োপযোগী। কিন্তু এই সুযোগে কিছু কিছু মানুষ ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে কেএফসি, বাটার শোরুমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে, ভাঙচুর করেছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা মনে করি, ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ভবিষ্যতেও যেসব কর্মসূচি পালিত হবে, সব কর্মসূচিই হতে হবে শান্তিপূর্ণভাবে।
আমরা চাই ইসরায়েল অবিলম্বে গাজায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের গণহত্যা বন্ধ করবে। মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, ফোরাম ও দেশ—সবাইকে ইসরায়েলের বর্বর হামলার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে, কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।