দেশের নিজস্ব তহবিল থেকে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিল উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ থেকে গঠিত এই তহবিলের মাধ্যমে যেকোনো ধরনের উন্নয়ন প্রকল্পে নিজস্ব তহবিল থেকে বিনিয়োগ করতে পারবে বাংলাদেশ।
দক্ষিণ এশিয়া, এমনকি বিশ্বে এটি হচ্ছে প্রথম প্রকল্প, যার মাধ্যমে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিজস্ব অর্থায়ন করা যাবে। বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিল (বিআইডিএফ) উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের নিজের পায়ে চলতে হবে। নিজেদের অর্থায়নে কাজ করতে হবে।’
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতার জন্মশতবর্ষে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ একটি প্রত্যয়ী ও মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। এখন এই অর্জন সুসংহত ও টেকসই করতে হবে। অভীষ্ট লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার চূড়ান্ত সুপারিশ আসার পর অর্থনীতির সক্ষমতা বাড়াতে সরকারকে মনোযোগী হতে পরামর্শ দিয়ে অর্থনীতিবিদরা পণ্য বহুমুখীকরণ ও সক্ষমতায় জোর দিতে বলেছেন।
তাঁদের মতে, সাময়িকভাবে বাজার নিয়ে সমস্যা হলেও তা কাটিয়ে ওঠার সক্ষমতা বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের আছে। এর সঙ্গে যেসব নীতি সহায়তা প্রয়োজন, সেগুলো নিশ্চয়ই সরকার দেবে বলেও মনে করেন তাঁরা। এখন দ্বিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্যচুক্তির প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। আমদানি শুল্ক কমানোসহ উচ্চমাত্রার সংরক্ষণমূলক নীতি পাল্টাতে হবে সরকারকে।
প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়িয়ে ব্যবসায়ীদের এখনই উদ্যোগী হওয়ার বিষয়টিকেও গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’-এর স্কোর উন্নত করতে হবে অর্থাৎ সহজে ব্যবসা করতে পারার সূচকে দেশের অবস্থানকে ওপরে তুলতে হবে।
আর্থিক ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। মানবসম্পদ উন্নয়নে বড় বিনিয়োগ করতে হবে। অর্থনীতিকে ডিজিটাইজ করতে হবে।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ একটি প্রত্যয়ী ও মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। এই অর্জনকে সুসংহত ও টেকসই করার ওপর জোর দিতে হবে।