প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এই অবস্থায় যৌথ বাহিনীর অভিযান আরো জোরদার করা হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনী শিগগিরই দেশজুড়ে আবারও সাঁড়াশি অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে।
জঙ্গি, সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে দেশে গত বছর ৪ সেপ্টেম্বর থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অভিযানে কিছুটা শিথিলতা আসে।
নতুন করে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে নানা পথে দেশে অস্ত্র প্রবেশ করছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে গণ-অভ্যুত্থানের সময় থানা-পুলিশ ফাঁড়ি থেকে লুট হওয়া অস্ত্র। লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদের একটি বড় অংশ এখনো উদ্ধার করা যায়নি। ধারণা করা হয়, অনেক অস্ত্র জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের হাতে চলে গেছে।
আবার যাঁরা বৈধ লাইসেন্সের মাধ্যমে অস্ত্র নিয়েছিলেন, তাঁদেরও অনেক অস্ত্রের হদিস নেই। সেসব অস্ত্র অবৈধ ঘোষিত হয়েছে। অন্যদিকে ৫ আগস্টের আশপাশে কারাগার থেকে অনেক জঙ্গি পালিয়ে গিয়েছিল। তাদের অনেককে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। বিভিন্ন সময় পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়েছে। তারা আবারও তাদের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক গড়ে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি করে চলেছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে কিশোরদেরও ব্যবহার করা হচ্ছে।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতির কারণে মানুষ এখন সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। প্রতিদিন বহু খুনাখুনির ঘটনা ঘটছে। যত্রতত্র লাশ পাওয়া যাচ্ছে। মানুষ এমন শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার অবসান চায়। পরিবার-পরিজন নিয়ে মান-সম্মানের সঙ্গে শান্তিতে বসবাস করতে চায়। তাই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। সারা দেশে যৌথ অভিযান বাড়াতে হবে। পুলিশি কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক করতে হবে। যেকোনো মূল্যে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।