English

21 C
Dhaka
সোমবার, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫
- Advertisement -

অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করুন: আইন-শৃঙ্খলার অবনতি

- Advertisements -
দেশের মানুষের রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠে গেছে। ক্রমাগতভাবে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম। এর চেয়েও বড় দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে নিরাপত্তা। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, পাড়া-মহল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত, চাঁদাবাজি ইত্যাদি মধ্যবিত্তের জীবনকে রীতিমতো দুর্বিষহ করে তুলেছে।
কথায় কথায় খুনাখুনি হচ্ছে। পথেঘাটে মানুষ যেমন নিরাপত্তাহীনতেমনি নিরাপত্তাহীন নিজের বাসার ভেতরেও।কলিং বেল টিপে ঢুকে যাচ্ছে ডাকাতরা। বাড়ছে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার।
প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়এই অবস্থায় যৌথ বাহিনীর অভিযান আরো জোরদার করা হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনী শিগগিরই দেশজুড়ে আবারও সাঁড়াশি অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে।
জঙ্গিসন্ত্রাসী গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে দেশে গত বছর ৪ সেপ্টেম্বর থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অভিযানে কিছুটা শিথিলতা আসে।
এই অবস্থায় নতুন করে যৌথ বাহিনীর অভিযান জোরদার করা হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, দেশকে যারা অস্থিতিশীল করতে চায়, তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আইজিপি বাহারুল আলম বলেছেন, ‘অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যাদের কাছেই অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ সূত্র জানায়, আগে থেকেই সন্ত্রাসীদের হাতে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে।
নতুন করে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে নানা পথে দেশে অস্ত্র প্রবেশ করছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে গণ-অভ্যুত্থানের সময় থানা-পুলিশ ফাঁড়ি থেকে লুট হওয়া অস্ত্র। লুট হওয়া অস্ত্র  গোলাবারুদের একটি বড় অংশ এখনো উদ্ধার করা যায়নি। ধারণা করা হয়, অনেক অস্ত্র জঙ্গি  সন্ত্রাসীদের হাতে চলে গেছে।
আবার যাঁরা বৈধ লাইসেন্সের মাধ্যমে অস্ত্র নিয়েছিলেন, তাঁদেরও অনেক অস্ত্রের হদিস নেই। সেসব অস্ত্র অবৈধ ঘোষিত হয়েছে। অন্যদিকে ৫ আগস্টের আশপাশে কারাগার থেকে অনেক জঙ্গি পালিয়ে গিয়েছিল। তাদের অনেককে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। বিভিন্ন সময় পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়েছে। তারা আবারও তাদের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক গড়ে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি করে চলেছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে কিশোরদেরও ব্যবহার করা হচ্ছে।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতির কারণে মানুষ এখন সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। প্রতিদিন বহু খুনাখুনির ঘটনা ঘটছে। যত্রতত্র লাশ পাওয়া যাচ্ছে। মানুষ এমন শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার অবসান চায়। পরিবার-পরিজন নিয়ে মান-সম্মানের সঙ্গে শান্তিতে বসবাস করতে চায়। তাই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। সারা দেশে যৌথ অভিযান বাড়াতে হবে। পুলিশি কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক করতে হবে। যেকোনো মূল্যে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

দুই রূপে আসছেন সিয়াম?

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন