English

18 C
Dhaka
শুক্রবার, জানুয়ারি ১৭, ২০২৫
- Advertisement -

অপরাধ দমন করতে হবে: ঢাকায় বেপরোয়া ছিনতাই

- Advertisements -
রাজধানী ঢাকাকে কোনোভাবেই নিরাপদ করা যাচ্ছে না। কালের কণ্ঠে গতকাল প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, রাজধানী ঢাকায় গত দেড় বছরে চার শতাধিক ব্যক্তি ছিনতাইকারীর হামলার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত ৩০ জন ছিনতাইকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হয়েছেন। ডিএমপির তথ্য অনুযায়ী ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটছে তেজগাঁও, উত্তরা, মিরপুুর, ধানমণ্ডি, ওয়ারী ও মতিঝিল এলাকায়।
পুলিশের অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীতে গত দেড় বছরে ৪৮২টি ছিনতাই, ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গত বছর ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে ১৬৫টি। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে ৫৫টি। ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, ঢাকা ছিনতাইকারীমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত পুলিশের বিশেষ অভিযান চলবে।
ঈদের দিন রাতে রামপুরার একরামুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ইনডিপেনডেন্ট টিভির একজন সহকারী প্রযোজক ও তাঁর বন্ধুকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। গত ১ জুলাই শনিবার ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফিরে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত এক পুলিশ সদস্য। এর পর থেকেই অপরাধীদের ধরতে পুলিশের তৎপরতা বেড়েছে। পুলিশ কনস্টেবল হত্যার ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতে নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিককে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ছুরি ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
সাধারণত যেসব স্থানে পুলিশের টহল নেই বা জায়গা নির্জন, সেসব স্থানে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, রাজধানীর বেশির ভাগ থানা এলাকায় রাত ১০টার পর পুলিশ থাকে না।
টহল পুলিশের গাড়িও কম দেখা যায়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেকের ভাষ্য, ঘটনার সময় আশপাশে চিৎকার করেও তাঁরা পুলিশের সহযোগিতা পাননি। এতে ঘটনার সময় দায়িত্ব পালনরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তালিকা তৈরি করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে।
এক শ্রেণির মানুষ পুলিশ প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা, মানবিক মূল্যবোধ—কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছে না। সাধারণ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে মানুষের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। খুনখারাবির লাগাম টেনে ধরতে না পারলে জনমনে নিরাপত্তাহীনতার বোধ আরো তীব্র হবে। রাজধানীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকলে সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন করে দুশ্চিন্তা দেখা দেবে।
তাই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে আরো তৎপর হতে হবে। কারণ নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর। সংঘবদ্ধ অপরাধীচক্র যখন বেপরোয়াভাবেই ছিনতাইয়ে নেমেছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে আরো তৎপর হতে হবে। জননিরাপত্তায় কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন