তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতে নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিককে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ছুরি ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
সাধারণত যেসব স্থানে পুলিশের টহল নেই বা জায়গা নির্জন, সেসব স্থানে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, রাজধানীর বেশির ভাগ থানা এলাকায় রাত ১০টার পর পুলিশ থাকে না।
টহল পুলিশের গাড়িও কম দেখা যায়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেকের ভাষ্য, ঘটনার সময় আশপাশে চিৎকার করেও তাঁরা পুলিশের সহযোগিতা পাননি। এতে ঘটনার সময় দায়িত্ব পালনরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তালিকা তৈরি করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে।এক শ্রেণির মানুষ পুলিশ প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা, মানবিক মূল্যবোধ—কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছে না। সাধারণ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে মানুষের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। খুনখারাবির লাগাম টেনে ধরতে না পারলে জনমনে নিরাপত্তাহীনতার বোধ আরো তীব্র হবে। রাজধানীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকলে সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন করে দুশ্চিন্তা দেখা দেবে।তাই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে আরো তৎপর হতে হবে। কারণ নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর। সংঘবদ্ধ অপরাধীচক্র যখন বেপরোয়াভাবেই ছিনতাইয়ে নেমেছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে আরো তৎপর হতে হবে। জননিরাপত্তায় কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না।