English

21 C
Dhaka
শুক্রবার, জানুয়ারি ১৭, ২০২৫
- Advertisement -

অপচয়মূলক ব্যয় কমান: এডিপি বাস্তবায়নে ধস

- Advertisements -
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়িত না হওয়া বাংলাদেশের জন্য যেন একটি স্বাভাবিক ঘটনা। প্রতিবছরই এ নিয়ে সরকারের অভ্যন্তরে এবং বাইরেও ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প যাচাই-বাছাইয়ের ডামাডোলে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বড় ধাক্কা চলতি অর্থবছরে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস জুলাই-ডিসেম্বরে গত সাত অর্থবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অর্থছাড় হয়েছে।
গত এক যুগের মধ্যে সর্বনিম্ন এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছে। জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসের এডিপি বাস্তবায়নের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। এতে দেখা যায়, ছয় মাসে এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছে ১৭.৯৭ শতাংশ। গত ছয় মাসে ৫০ হাজার দুই কোটি টাকা অর্থছাড় হয়েছে, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের পর সর্বনিম্ন।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি থেকে ৪৯ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট হচ্ছে। এর মধ্যে সরকারের অংশ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক বরাদ্দ থেকে ১৯ হাজার কোটি টাকা।

বরাবরই লক্ষ করা গেছে, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে শ্লথগতি। এই শ্লথগতির পেছনের কারণ, প্রকল্প গ্রহণে অসতর্কতার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অদক্ষতা, অদূরদর্শিতা।

এডিপি দ্রুত ও সুষ্ঠু বাস্তবায়নের সংস্কৃতি জোরদার করার তাগিদ এর আগে বহুবার দেওয়া হলেও এ ক্ষেত্রের চিত্র এখনো তথৈবচ। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অন্য রকম। স্বচ্ছতা-জবাবদিহি-দায়বদ্ধতার পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রত্যাশা এ সরকারের কাছে মানুষের বেশি হলেও তা হোঁচট খেয়েছে। এমন অভিযোগও আছে যে রাজনৈতিক সরকারগুলো বাস্তবভিত্তিক প্রকল্প প্রণয়নের পরিবর্তে রাজনৈতিক প্রকল্প হাতে নিয়ে থাকে। আর এসব প্রকল্পের কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে নানা রাজনৈতিক চাপও লক্ষ করা যায়।

এ কারণেও প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ঝুলে যায়।

আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়, কিন্তু ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয় না। সমন্বয়হীনতার কারণেও এডিপির বাস্তবায়ন দুরূহ হয়ে পড়ে। বিষয়টি বৃহৎ জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট বিধায় এর নিয়মিত তদারকি দরকার। সাম্প্রতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, যেহেতু দেশের অর্থনীতি সংকটের মধ্যে আছে, রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হচ্ছে, তাই সরকারকে ব্যয় কমাতে হবে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে অপচয়মূলক ব্যয় কমানোর অনেক সুযোগ রয়েছে।

এ ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে খরচ কমানোর বড় জায়গা হচ্ছে এডিপি। পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন বর্তমানে শুরুর পর্যায়ে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাদ দিয়ে এডিপিতে বড় ধরনের কাটছাঁট করলে তেমন কোনো অর্থের অপচয় হবে না। অর্থনীতিবিদদের মতে, রাজনৈতিক বা প্রশ্নবিদ্ধ প্রকল্পগুলো পুনরায় বিবেচনা করা উচিত। কারণ সরকারকে ব্যয় কমাতে হবে। ব্যয় কমানোর বড় জায়গা এডিপি।

রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষী প্রকল্প বাদ দিয়ে সঠিক জায়গায় অর্থ ব্যয় হোক। গতি আসুক এডিপি বাস্তবায়নে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন