আশা করা হচ্ছে, এখান থেকে দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ ব্যারেল তেল পাওয়া যাবে। বাংলাদেশে জ্বালানির যে বিপুল ঘাটতি, তা মোকাবেলায় এটি কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।
বাংলাদেশে গ্যাসের সংকট ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। অনেক সময় সার ও বিদ্যুৎ কারখানায় পর্যন্ত গ্যাস দেওয়া বন্ধ রাখতে হয়।
প্রায়ই শিল্প-কারখানাগুলোতেও গ্যাসসংকটে উৎপাদন ব্যাহত হয়। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ পেতে সরকার বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে এলএনজি আমদানি করছে। তেল আমদানিতেও চলে যায় বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা। এখানে উৎপাদিত তেল হয়তো চাহিদার তুলনায় খুবই সামান্য হবে, তার পরও এটি যথেষ্ট পরিমাণে স্বস্তিদায়ক।প্রতিমন্ত্রী জানান, সিলেটের হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রে অবস্থিত কূপটিতে গ্যাসের তিনটি স্তরের পাশাপাশি তেলের অবস্থান রয়েছে। এখানে গ্যাসের মজুদ থাকতে পারে ৪৩.৬ থেকে ১০৬ বিলিয়ন ঘনফুট, যার গড় মূল্য হবে আট হাজার ৫০০ কোটি টাকা। চীনা কম্পানি সিনোপ্যাক খনন করার মাধ্যমে এই তেল ও গ্যাসের সন্ধান পায়। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক মাসের মধ্যেই মজুদের পরিমাণসহ খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জানা যাবে এবং আট থেকে ১০ মাসের মধ্যে গ্যাস ও তেল উত্তোলন শুরু করা যাবে।জ্বালানি ও খনিজ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বাংলাদেশে আরো অনেক স্থানেই তেল, গ্যাস ও অন্যান্য খনিজসম্পদ রয়েছে।বঙ্গোপসাগরের ব্লকগুলোতেও বিপুল পরিমাণ তেল ও গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য ধারাবাহিকভাবে অনুসন্ধানকাজ চালিয়ে যেতে হবে। আর এই কাজে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি নিজস্ব উদ্যোগে অনুসন্ধান প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে। বাপেক্স (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রডাকশন কম্পানি লিমিটেড) নিকট অতীতে এ ক্ষেত্রে অনেক সাফল্য দেখিয়েছে। সংস্থাটির সক্ষমতা আরো বাড়াতে হবে এবং যত বেশি সম্ভব তাদের কাজে লাগাতে হবে।আমরা আশা করি, বাংলাদেশ অচিরেই জ্বালানিসংকট মোকাবেলা করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে। এ জন্য নিজস্ব সম্পদের অনুসন্ধান, আহরণ ও ব্যবহার বাড়াতে হবে।