English

21 C
Dhaka
রবিবার, নভেম্বর ১৭, ২০২৪
- Advertisement -

অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন: হাওরের বাঁধ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ

- Advertisements -
প্রায়ই আগাম বন্যায় হাওরাঞ্চলে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। গত বছরও অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু তাতে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তাদের অভ্যাসের কোনো পরিবর্তন হয় না। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সুনামগঞ্জের ৫৪টি হাওরের অনেক বাঁধের নির্মাণকাজই সময়মতো শেষ হয়নি।পাউবো ৭৮ শতাংশ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করলেও হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতা ও কৃষকদের মতে, ৫০ শতাংশ প্রকল্পের কাজও শেষ হয়নি। ফলে এ বছরও আগাম বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
Advertisements

কাবিটা নীতিমালা ২০১৭ অনুযায়ী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রাক্কলন  শেষ করে ১৫ ডিসেম্বর বাঁধের কাজ শুরু করতে হবে এবং ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ, সংস্কার ও  মেরামতে নিয়োজিত জেলা কাবিটা মনিটরিং ও বাস্তবায়ন কমিটি সূত্রে জানা  গেছে, চলতি বছর জেলার ৫৪টি হাওরের ৭৪৫ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ২০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

Advertisements

এক হাজার ৭৮টি ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। এর মধ্যে দুটি প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। গতবার ৭৬৫টি প্রকল্পে ১৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ফসল রক্ষা বাঁধ করা হয়েছিল। এ বছর বরাদ্দ বাড়লেও কাজ শেষ করার ক্ষেত্রে সেই পুরনো চিত্রই রয়ে গেছে। রয়েছে অনিয়ম ও গড়িমসির বিস্তর অভিযোগ।

স্থানীয়দের মতে, দেরিতে কাজ শুরু করা হলে কাজের মধ্যখানে উজানের ঢল চলে আসে। তখন পুরো টাকাটাই লুটপাট করা যায়। এই লুটপাট কমাতে সরকার কাবিটা বিধিমালা ২০১৭ প্রণয়ন করলেও তা মানার ক্ষেত্রে রয়েছে সংশ্লিষ্টদের অনীহা।

তাই কোনো বছরই নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হয় না। কৃষকদের নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি বা পিআইসি গঠনের কথা থাকলেও প্রকৃত কৃষকদের কমিটিতে নেওয়া হয় না বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের।

অভিযোগ রয়েছে, পাউবো ও উপজেলা প্রশাসনের পছন্দের লোকেরাই কমিটিতে স্থান পান, ফলে প্রকল্পের কাজে ব্যাপক দুর্নীতি হয়। এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানেও হাওরের বাঁধ নির্মাণ নিয়ে করা লুটপাটের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

তাই বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম ঠেকাতে হাওর আন্দোলনের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের দাবিগুলো যথার্থ বিবেচনার দাবি রাখে।

হাওরাঞ্চলের লাখ লাখ কৃষকের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কারো নেই। কেন নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হলো না এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহি করা প্রয়োজন। পাশাপাশি অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন