English

29 C
Dhaka
শনিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৪
- Advertisement -

সহযোগিতা আরো বাড়াতে হবে: ভারত সফর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী

- Advertisements -

বাংলাদেশের তিন দিকে ভারত, এক দিকে বঙ্গোপসাগর, এক পাশে মিয়ানমারের সামান্য অংশ। বৃহৎ সীমান্তসম্পন্ন প্রতিবেশীর সঙ্গে খুব স্বাভাবিকভাবেই অনেক অমীমাংসিত বিষয় থাকে। ভারতের সঙ্গেও আছে। এরই মধ্যে গঙ্গার পানিবণ্টন, ছিটমহল সমস্যাসহ অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে।

আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাকি সমস্যাগুলোরও সমাধান হবে। গত বুধবার সাম্প্রতিক সময়ের ভারত সফর নিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমনই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, এই সফরেও বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জন রয়েছে। ভারতের নুমালিগড় থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আনা হবে। পাইপলাইনটিও ভারত নির্মাণ করে দেবে। এলএনজি আমদানির ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। ভারতের ওপর দিয়ে নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে কথা হয়েছে। দুই দেশ সাতটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে। কুশিয়ারা নদী থেকে ১৫৩ কিউসেক পানিবণ্টনে সমঝোতা হয়েছে। পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, সাইবার নিরাপত্তা, মহাকাশ প্রযুক্তি, গ্রিন ইকোনমি, সুনীল অর্থনীতি, সাংস্কৃতিক ও জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে।

প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক উভয়ের জন্যই লাভজনক হয়। উভয়েরই লক্ষ্য অর্জন সহজতর হয়। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক তেমনই এক পর্যায় অতিক্রম করছে এবং ক্রমেই তা ঘনিষ্ঠ থেকে ঘনিষ্ঠতর হচ্ছে। শুধু দুই দেশই নয়, নেপাল ও ভুটানকে নিয়ে যে উপ-আঞ্চলিক জোট ও সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে, তা এই অঞ্চলের সমৃদ্ধিকে আরো ত্বরান্বিত করবে। দুই নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠকে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। ভারতের ওপর দিয়ে ভুটানের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনসহ অন্যান্য আন্ত সীমান্ত রেল সংযোগ স্থাপনে ভারতের যেসব বিধি-নিষেধ রয়েছে, সেগুলো প্রত্যাহার করা হবে। উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগ যত বাড়বে, দেশগুলো তত বেশি উপকৃত হবে। নেপাল ও ভুটান বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে যেমন উপকৃত হবে, তেমনি বাংলাদেশও লাভবান হবে। সীমান্তে প্রাণহানি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে অনেক দিন ধরেই কাজ হচ্ছে। এ ব্যাপারে উদ্যোগ আরো জোরদার করা হবে। ভারত চিনি, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের রপ্তানি বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। ভবিষ্যতে রপ্তানি বন্ধের আগে বাংলাদেশকে যাতে আগাম জানানো হয় তার পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রেলওয়ে সেবার মান বাড়াতে আইটি সলিউশন বিনিময় করা হবে। বাংলাদেশের মুজিবনগর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত ঐতিহাসিক স্বাধীনতা সড়ক চালু করা হবে।

দেশের মানুষের প্রত্যাশা ছিল, প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সময়ের সফরে তিস্তা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বহু প্রতীক্ষিত চুক্তিটি সম্পাদিত হবে। সেই চুক্তিটি সম্পাদিত না হওয়ায় মানুষ কিছুটা হলেও হতাশ হয়েছে। এ প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এখনো অনেক অমীমাংসিত সমস্যা রয়েছে এবং এটাই বাস্তব। আমরাও মনে করি, সমস্যা অতীতেও ছিল, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। নতুন নতুন সমস্যা তৈরি হবে। আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে এসব সমস্যার সমাধান করতে হবে। পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক অটুট রাখতে হবে এবং হাত ধরাধরি করে দুই দেশকেই এগিয়ে যেতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন