বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, ফেরিওয়ালা, পরিবহন শ্রমিক এবং আরো অনেক পেশার মানুষ, যাদের সরাসরি রোদের মধ্যে কাজ করতে হয়, তারা বেশি সমস্যাগ্রস্ত হয়। শিশু এবং বয়স্করাও বেশি ঝুঁকিতে থাকে। চিকিৎসকদের মতে, এই সময়টায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি। শরীরে পানির চাহিদা বেড়ে যায়, কিন্তু সে পানি হতে হবে বিশুদ্ধ। অথচ অনেক স্থানেই সুপেয় পানির সংকট রয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার পানি না পাওয়ার কিংবা কোথাও কোথাও পানিতে ময়লা ও দুর্গন্ধ থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়।আবহাওয়াবিদদের মতে, এমন তাপপ্রবাহ আরো বেশ কয়েক দিন ধরে চলতে পারে। আমরা মনে করি, তাপপ্রবাহের অবস্থা বিবেচনা করে সরকার জরুরি কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারে। হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখতে হবে জরুরি রোগী ব্যবস্থাপনার জন্য।সুপেয় পানি সহজলভ্য করতে হবে। রোদ মাথায় নিয়ে যারা মাঠে-প্রান্তরে কাজ করতে বাধ্য হয়, তারা যাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় সে জন্য স্থানীয়ভাবে নিয়োগদাতাদের বাধ্য করার ব্যবস্থা নিতে হবে। মানুষকেও সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় আমাদের আরো বেশি স্থায়ী উদ্যোগ নিতে হবে।