এ কারণেই উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারীদের মধ্যে বেকারের সংখ্যা বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নেই, এমন ব্যক্তিদের মধ্যে বেকার ১ শতাংশের একটু বেশি। সংখ্যার দিক থেকে এমন বেকার এক লাখ ৫৩ হাজার। এ ছাড়া প্রাথমিকের গণ্ডি পেরোনোদের মধ্যে ১.৬৯ শতাংশ বা তিন লাখ ২২ হাজার বেকার রয়েছে। এ ছাড়া মাধ্যমিক পাস করেছে, এমন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২.৮২ শতাংশ বা সাত লাখ ৩৯ হাজার বেকার।
উচ্চ মাধ্যমিক পাস বেকার ৪.৯৪ শতাংশ। শিক্ষার সঙ্গে বেকারত্ব যেন তাল মিলিয়ে এগোচ্ছে। নারীরাও ক্রমে বেশি করে শ্রমবাজারে যুক্ত হচ্ছে। ২০১০ সালে এক কোটি ৭২ লাখ নারী শ্রমশক্তিতে ছিল, এখন সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দুই কোটি ৫৮ লাখ। কিন্তু আমাদের শিল্পায়ন ও অন্যান্য উদ্যোগ একইভাবে এগোচ্ছে না। ফলে চাহিদার তুলনায় কর্মসংস্থান কম হচ্ছে।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক স্থিতির স্বার্থে কর্মসংস্থান বাড়াতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে। শিল্পায়নকে এগিয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি কর্মমুখী শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। শুধু দেশের নয়, বিদেশের শ্রমবাজারের চাহিদা বিবেচনা করেও কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। একই সঙ্গে সারা দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির ওপরও গুরুত্ব দিতে হবে।