সিপিডি বলছে, সামাজিক খাত পুনর্গঠন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্বাভাবিক করে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন, শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। শ্রমবাজারের চাহিদা ও দক্ষতার অসামঞ্জস্য দূর করার তাগিদও দিয়েছে সিপিডি। আমরা দীর্ঘদিন থেকেই লক্ষ করছি, আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ উঠেছিল চার হাজার ৮০০ কোটি ডলার (৪৮ বিলিয়ন)।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২১ মে পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৪.০৯ বিলিয়ন ডলার। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে চলতি বছরের মার্চ ও এপ্রিলের আমদানি বিল পরিশোধের পর গত মে মাসে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ১৮ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে যায়। আবার ঈদের আগে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স বা প্রবাস আয় বাড়ে। এ ছাড়া ডলারের রেট বাড়ায় রপ্তানি আয়ও বাড়ছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ কিছুটা বাড়ে।
সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন এক ক্রান্তিকাল পার করছে। ডলারের বিপরীতে টাকার মানে ধস নেমেছে। বৈদেশিক বাণিজ্যেও পড়েছে দেশজুড়ে চলা অস্থিরতার প্রভাব। দীর্ঘদিন ধরে চলা ডলার সংকট আরো তীব্র আকার ধারণ করেছে। ফলে নতুন করে ঋণপত্র (এলসি) খোলা প্রায় বন্ধ। আমদানিকারকরা ডলার সংকটে পুরনো বকেয়া পরিশোধেও হিমশিম খাচ্ছেন।
বৈদেশিক মুদ্রা মজুদ না থাকলে অর্থনীতিতে সংকট সৃষ্টি হতে পারে। তাই রিজার্ভের পতন ঠেকানো এখন জরুরি কাজ। রিজার্ভ বাড়িয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করতে হবে।