এ ছাড়া পথের পাশের খাবারের দোকানে যে পানি পাওয়া যায়, সেগুলোও খুব একটা বিশুদ্ধ হয় না। অথচ প্রচণ্ড তৃষ্ণা নিয়ে মানুষ সেই পানিই পান করে। এর ফলে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পেটের পীড়া মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়ে।
বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিতে হবে। একটানা বেশিক্ষণ রোদে থাকলে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ারও আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সচেতনতা সৃষ্টি এবং পরামর্শের ব্যবস্থা করাও জরুরি।
এমন গরম বা তাপপ্রবাহে শিশু ও বৃদ্ধরা অনেক ঝুঁকিতে থাকেন। এ ছাড়া যাদের দীর্ঘমেয়াদি অসুখ, যেমন—হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা, ক্যান্সারের মতো রোগ রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
এ সময়ে ডায়রিয়া, জ্বর, টাইফয়েড, জন্ডিস, হাঁপানির মতো রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হয়।
তাই হাসপাতালে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি বিবেচনায়, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন দেশের সরকারি হাসপাতালের পরিচালক ও সিভিল সার্জনদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় হাসপাতালগুলোকে প্রয়োজন অনুযায়ী প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেন। আমরা আশা করি, সে নির্দেশ যথাযথভাবে পালিত হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়া ক্রমেই চরমভাবাপন্ন হচ্ছে। ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, অতিবৃষ্টি, বন্যা, ঠাণ্ডা, গরম—সবই অস্বাভাবিক রূপে আঘাত হানছে এবং হানতে থাকবে। সেই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য আমাদেরও সব রকম প্রস্তুতি থাকা প্রয়োজন।