সাম্প্রতিক সময়ে করোনা সংক্রমণ আবার বেড়েছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাবও রয়েছে, এখনো মাস্ক পরায় অনেক মানুষের অনীহা।
এখনো জটলা করা, একসঙ্গে ভিড় করে আড্ডা দেওয়া চলছে। বাজারে ভিড় করার দৃশ্য লক্ষণীয়। সরকারি-বেসরকারি অফিস খোলা রয়েছে, এর মধ্যে দুদিন গণপরিবহন বন্ধও রাখা হয়েছে। ফলে কর্মস্থলে যেতে মানুষকে ব্যাপক অসুবিধায় পড়তে হয়েছে। ব্যবসায়ীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দোকানপাট-বিপণিবিতান খোলা রাখার দাবি জানিয়েছেন; অন্তত চার ঘণ্টা দোকান খোলা রাখতে চান তাঁরা। কোথাও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দোকান খোলেন ব্যবসায়ীরা। গণপরিবহন আবার চালু করায় রাজধানীতে-নগরীতে বাস চলাচলে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বলা হয়েছে। এ নির্দেশনা কতটুকু মানা হবে সেটাই দেখার বিষয়।
এক প্রতিবেদনে মাস্ক পরার বিষয়ে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাজধানীর হাতিরঝিলে মানুষ গিজগিজ করছে। স্বাভাবিকভাবেই শারীরিক দূরত্ব বজায় থাকছে না। অন্তত ৫০ শতাংশের মাস্ক নেই। দেশজুড়ে করোনাবিষয়ক নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই এমন চলছে। মাস্ক বিষয়ে কারো কারো মন্তব্য অবাক করার মতো। মাস্ক না পরার কারণ জানতে চাইলে তারা উত্তর দেয়, করোনা তাদের কিছু করতে পারবে না। মাস্ক পকেটে আছে; পরলে গরম লাগে, দম বন্ধ হয়ে আসে ইত্যাদি। অনেকে মাস্ক থুতনিতে ঝুলিয়ে রেখেছে। কেউ মাস্ক হাতে ধরে রেখেছে। কোনো কোনো আড্ডায় মাস্ক পরা লোকের চেয়ে মাস্ক না পরা লোক বেশি। তরুণ-কিশোরদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারের প্রবণতা অনেক কম। স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না বাজারের ভিড়েও বা সরকারি প্রতিষ্ঠানের (টিসিবি) পণ্য বিক্রির লাইনেও। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছিল। তখন গা ঘেঁষে দাঁড়িয়েছিল নারী, শিশুসহ দেড় শতাধিক মানুষ। অনেকের মুখে মাস্কও ছিল না।
করোনা পরিস্থিতি আবারও শঙ্কাজনক ধাপে পৌঁছেছে। এ অবস্থায় সরকারি কাজে সুব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা দরকার; স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না তা ভালো করে মনিটরিং করা দরকার। না মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যদিকে জনসচেতনতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় সব প্রচার-কৌশল কাজে লাগাতে হবে। মানুষ সচেতন না হলে খুবই বিপদ।