English

26 C
Dhaka
সোমবার, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫
- Advertisement -

ভোক্তার স্বার্থ রক্ষা করতে হবে: বাজার অস্থিতিশীল

- Advertisements -
বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়তি। মৌসুমের শেষ দিকে এসে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে আলু ও পেঁয়াজের দাম। মাসখানেক আগে থেকেই নতুন আলু ও পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। দুটি পণ্যেরই সরবরাহ প্রচুর, তবু দাম কমছে না।
ডিম ও মুরগির দাম বেড়ে একটা জায়গায় গিয়ে থমকে আছে, কমছে না। আদা, রসুন, মসলার দামও অনেকটাই বেড়েছে। শীতের সবজিতে বাজার সয়লাব, কিন্তু দাম তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বেশি। এই অবস্থায় নিম্ন ও স্থির আয়ের ভোক্তারা সংকটে আছে।
চাহিদা অনুযায়ী কেনাকাটা করতে পারছে না।
বাজারের এমন অস্থিরতা চলছে কয়েক মাস ধরেই। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, গত বৃহস্পতিবারও রাজধানীর বাজারগুলোতে নতুন আলু বিক্রি হয়েছে মানভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। পুরনো আলু প্রতি কেজি ৮০ টাকা।
দেশি রসুন ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, আমদানি করা রসুন ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, আদা ২২০ থেকে ২৪০ টাকা। ফার্মের ডিম এখনো প্রতি ডজন ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেটজাত চিনি ১৪৮ টাকা এবং খোলা চিনি ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা কেজি।
ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি পণ্যের এমন অস্বাভাবিক দামের কারণে তাদের জীবনে রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠে গেছে। তাদের বিশ্বাস, পণ্যমূল্য না কমার পেছনে বিক্রেতাদের কারসাজি রয়েছে।
বাজার বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মধ্যস্বত্বভোগীদের অতিরিক্ত লোভ-লালসার কারণেই পণ্যমূল্য ক্রমেই আকাশচুম্বী হচ্ছে। ধরা যাক কৃষিপণ্য আলুর কথাই। চাহিদার পুরোটাই দেশে উৎপাদিত হয়। কয়েক মাস ধরে আলুর দাম কেবলই বাড়ছে।
সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও তা মানা হয় না। অবশেষে সরকার আমদানির অনুমতি প্রদান করে। আমদানি করেও দামের লাগাম টানা যায়নি। নতুন আলু বাজারে আসার পরও দাম প্রায় একই জায়গায় আছে। জানা যায়, মৌসুমে যখন আলু উৎপাদিত হয়, তখন আলুর দাম ১৫ টাকারও নিচে নেমে যায়। অনেক সময়ই উৎপাদনকারী কৃষকের উৎপাদন খরচও ওঠে না।
তখন সস্তা দামে এগুলো কিনে নেন মজুদকারী ব্যবসায়ীরা। হাজার হাজার টন আলু কিনে হিমাগারে রেখে দেন। মৌসুমের আলু কমে এলে হিমাগার থেকে সেসব আলু বাজারে আসে। তখনই মজুদকারীদের সিন্ডিকেট তাদের কৌশল খাটাতে শুরু করে। সাম্প্রতিক আলুসংকটেরও কারণ এটি।
পেঁয়াজ বা অন্যান্য কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রেও প্রায় একই অবস্থা। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতাও মূল্যবৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
ভোক্তার স্বার্থ দেখার দায়িত্ব সরকারের। পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে সরকারকে পরিকল্পিত ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নিতে হবে। বাজারে পণ্যের সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখার পাশাপাশি বিকল্প বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন