সচেতনতার প্রগ্রাম যেভাবে করা হয়েছে, মার্কেটের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সেভাবে পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ৩০০ থেকে ৪০০ কিলোওয়াট ধারণক্ষমতা থাকলেও অতিরিক্ত লোড দিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয়ে আসছিল মার্কেটে।
পুরো মার্কেট টাইট কলাপসিবল গেট দিয়ে আটকানো থাকায় ভেতরে ফায়ারফাইটারদের প্রবেশ করাতে বেগ পেতে হয়েছে। তালা ভেঙে এবং গেট ভেঙে আমাদের ভেতরে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে হয়েছে।
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে আরো কিছু অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সাযুজ্য কিন্তু দেখা যায়। গত ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজারে আগুন লাগে সকাল ৬টা ১০ মিনিটের দিকে। ১৩ এপ্রিল পুরান ঢাকার নবাবপুরে একটি গুদামে আগুন লাগে রাত ১০টা ৮ মিনিটে। ১৫ এপ্রিল রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকার নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগে ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে আগুনের সূত্রপাতও ভোররাতে। স্বাভাবিকভাবেই রাতে বা ভোররাতে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে, বিষয়টি খাটো করে দেখার কোনো কারণ নেই। খতিয়ে দেখাটা অতীব প্রয়োজন। একের পর এক কেন আগুন লাগছে।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে আগুনের ঘটনা কি অসতর্কতার জন্য ঘটেছে, নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে—এই প্রশ্নের জবাব পাওয়াটা জরুরি। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ষড়যন্ত্র বা নাশকতা কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার।
একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর উৎস সন্ধানের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার দাবি রাখে।
ব্যবসায়ীদের যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ হওয়ার নয়। অনেকেই পথে বসে গেছেন। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিতে হবে।