করোনাকালে বাংলাদেশের জন্য একটি ইতিবাচক সংবাদ এনেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। সংস্থাটির ‘রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২০’ হালনাগাদ জরিপ থেকে পাওয়া নতুন তথ্যে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের গড় আয়ু দুই মাস বেড়ে ৭২ বছর আট মাস হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭১ বছর দুই মাস আর নারীদের ৭৪ বছর পাঁচ মাস। ২০১৯ সালের এই প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭২ বছর ছয় মাস। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী গত ১ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত দেশের মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৯১ লাখ। ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এই জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৮২ লাখ। দেশে বর্তমানে মোট পুরুষের সংখ্যা আট কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার, নারীর সংখ্যা আট কোটি ৪০ লাখ ৩০ হাজার।
তথ্যানুযায়ী জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার কিছুটা কমে ১.৩০ হয়েছে। আগের বছর এই হার ছিল ১.৩২। এর ৫৪ শতাংশ পল্লী এলাকায় আর ৪৬ শতাংশ শহরে। প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী শিশুমৃত্যুর হার অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি হাজারে ২১ জন শিশু মারা যাচ্ছে। মাতৃমৃত্যুতে আরেকটু উন্নতি হয়ে প্রতি হাজারে ১.৬৩ জন হয়েছে। আগের বছরে এটি ছিল ১.৬৫ জন। বিয়ের গড় বয়স ২৪.২ মাস অপরিবর্তিত রয়েছে। আগের বছরও একই হার ছিল। জরিপের তথ্য অনুযায়ী সাত বছর ও তদূর্ধ্ব জনসংখ্যার শিক্ষার হার এখন ৭৫.২ শতাংশ। ২০১৫ সালে এই হার ছিল ৬৩.৬ শতাংশ। আর ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনসংখ্যার শিক্ষার হার ৭৫.৬ শতাংশ।
এই জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুল মান্নান বলেছেন, ‘আমরা এখন জনসংখ্যাকে ভয় পাই না। কারণ মানুষ আমাদের সম্পদ।’ তিনি যথার্থ কথাই বলেছেন। আমরা মনে করি, জনশক্তিকে উপযুক্ত করে গড়ে তোলা গেলে তার চেয়ে বড় সম্পদ আর নেই। আমাদের এখন সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। এই জনশক্তিকে জনশক্তিতে রূপান্তর করতে হবে। কর্মক্ষম জনশক্তির জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থানও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মানবসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি।