একই সঙ্গে চলমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে সরকারের খরচ ও কর্মকর্তাদের বিদেশভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. হেলালউদ্দীনের সই করা পরিপত্রে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে বিদেশভ্রমণের নামে সরকারি অর্থ অপচয়ের অনেক চমকপ্রদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কিছুদিন আগে প্রকাশিত এক খবরে জানা যায়, সচিবালয়ের নতুন ২০ তলা ভবনের জন্য ৯টি লিফট ও ২৪০০ টন ক্ষমতার চিলার এসি কেনা হবে।
আর এ জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তিন আমলা ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাত প্রকৌশলী বিদেশ সফরে যাবেন। তাঁরা তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স ও মালয়েশিয়া সফর করবেন। দুই বছর আগে আরেক খবরে বলা হয়েছিল ‘মসলা চাষ শিখতে বিদেশ যাবেন ১৮ কর্মকর্তা। সফরের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যয় ধরা হয়েছিল তিন কোটি ২৫ লাখ টাকা এবং ৬৫ জন কর্মকর্তার বিদেশ সফরের প্রস্তাব করা হয়েছিল।
পরিকল্পনা কমিশনের আপত্তির মুখে তা কমিয়ে ১৮ জনে নামিয়ে আনা হয়েছিল এবং ব্যয় কমিয়ে ৯০ লাখ টাকা করা হয়েছিল। ২০২০ সালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের স্কুল ফিডিং কার্যক্রমের কিছু কর্মকর্তার খিচুড়ি রান্না ও পরিবেশন শিখতে বিদেশে যাওয়ার বিষয়টি বেশ রসালো আলোচনার খোরাক হয়েছিল।
অভিজ্ঞতা অর্জনে তাঁদের ভারত, ব্রাজিল, সাউথ আফ্রিকা, থাইল্যান্ড ভ্রমণ করার কথা হয়েছিল। এমন খবর আরো অনেক প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু এই দুঃসময়ে এ ধরনের ভ্রমণ খুব জরুরি হবে কি? আমরা মনে করি, সরকার সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে।
গত বছরও কৃচ্ছ্রসাধনের এমন সিদ্ধান্ত ছিল, কিন্তু তার পরও অনেক অপচয় ঠেকানো যায়নি। তাই এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সরকারকে কঠোর হতে হবে।