English

19.8 C
Dhaka
রবিবার, জানুয়ারি ১৯, ২০২৫
- Advertisement -

বর্জ্য ফেলা বন্ধ করুন, শহর বাঁচান সিলেটে সুরমা নদীর পাড়

- Advertisements -

অধিকার আর স্বেচ্ছাচার এক নয়। নিজের ঘর, বিপণি কিংবা রেস্তোরাঁ পরিচ্ছন্ন রাখতে সেখানকার বর্জ্য সরানো নিঃসন্দেহে যে কারও অধিকার। আর জনসাধারণের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নষ্ট করে সেই বর্জ্য যত্রতত্র ফেলার যে ইচ্ছা, তা হলো স্বেচ্ছাচার।

স্বেচ্ছাচারের ‘স্বাধীনতা’কে সমাজের একটি অংশ মৌলিক স্বাধীনতা ভাবতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে, ভয়টা সেখানেই। কারণ, এই অভ্যস্ততার মধ্য দিয়ে অনিয়মটাই একসময় নিয়ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায়।

সিলেট শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীর পাড়ে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ময়লা–আবর্জনা ফেলার কারণে এলাকাবাসীর স্বাস্থ্য ও পরিবেশ হুমকিতে পড়লেও কেউ বর্জ্য ফেলা বন্ধে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারছে না। হয়তো স্বেচ্ছাচারের ‘স্বাধীনতা’ সেখানে তুলনামূলকভাবে বেশি প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেছে।

নগরের তোপখানা এলাকা থেকে কানিশাইল পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটারে নদীপাড়ের ৯টি স্থানে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। এখানে পচা ও উচ্ছিষ্ট খাবার, কলার কাঁদি, প্লাস্টিকের বোতল, চিপসের খালি প্যাকেটসহ বাসাবাড়ি ও হোটেল–রেস্তোরাঁর বর্জ্য এবং অন্য সব ধরনের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। পাড় থেকে সেই ময়লা নদীতে পড়ে পানি দূষিত হচ্ছে। এতে নদীতীরের বাসিন্দারা দুর্ভোগে পড়েছে।

দু–একটি এলাকায় নদীর পাড়ে ময়লা ফেলার জন্য প্লাস্টিকের পাত্র থাকলেও লোকজন সেগুলোতে তেমন ময়লা ফেলছে না। হাতের নাগালে ময়লা ফেলার পাত্র থাকার পরও নদীর পাড়েই যত্রতত্র তাঁরা আবর্জনা ফেলছে। নদীর পাড়ে দিনের পর দিন আবর্জনা পড়ে থাকলেও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পরিষ্কার করা হয় না।

নদীর পাড়ে প্লাস্টিকের যেসব পাত্র বসানো হয়েছে, সেগুলো আকারে অনেক ছোট। ময়লা ফেলার ওই পাত্রে শুধু শুকনা ময়লা যেমন খাবারের প্যাকেট, বোতল, প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যাগ ফেলা যায়। তাই বাসা ও দোকানের বর্জ্য সেসব পাত্রে না ফেলে নদীর পাড়ে নিয়ে ফেলা হয়।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আজকের রাশিফল

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন