সবচেয়ে বেশি খরচ হয় তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে। এর চেয়ে কিছুটা কম গ্যাস ও কয়লাভিত্তিক উৎপাদনে। কিন্তু সেগুলোর সরবরাহ যথেষ্ট নয়। এসবের চেয়ে অনেক কম খরচ হয় পরমাণুবিদ্যুতে। পাশাপাশি এটির পরিবেশদূষণও অনেক কম। আর এখন বিশ্বব্যাপী পঞ্চম প্রজন্মের যেসব পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে, সেগুলোতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নেই বললেই চলে।
রাশিয়া বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় সহযোগিতা ছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের। স্বাধীনতার পরও চট্টগ্রাম বন্দর মাইনমুক্ত করতে গিয়ে জীবন দিতে হয়েছে সোভিয়েত সেনাবাহিনীর অনেক সদস্যকে।
স্বাভাবিকভাবেই আয়োজিত অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বন্ধুপ্রতিম রাশান ফেডারেশনের সরকার এবং জনগণের প্রতি, যারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ও যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে অসামান্য সহযোগিতা করেছিল এবং আমাদের এই স্বপ্নের প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা বাড়িয়ে দিয়েছিল।’ ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘বাংলাদেশ রাশিয়ার পরীক্ষিত বন্ধু। আমাদের সম্পর্ক সমতা, পরস্পরের জন্য শ্রদ্ধা ও পরস্পরের স্বার্থ মেনে নেওয়ার ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সহায়তার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
এর পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রাশিয়া কাজ করছে। বড় শিল্প ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়া সহায়তা করেছে।’ আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতেও দুই দেশের এই বন্ধুত্ব অটুট থাকবে। স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনের পথে পরমাণুবিদ্যুৎ কার্যকর ভূমিকা রাখবে—এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।