চলাচলেও অক্ষম হয়ে পড়ে। এতে যেমন ব্যক্তির জীবনে আর্থিক বিপর্যয় নেমে আসে, পরিবারেও বোঝা হয়ে ওঠে এবং একসময় মানসিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারে।
মানুষের হাঁটাচলা করার অভ্যাস কমে যাচ্ছে। এক জায়গায় দীর্ঘক্ষণ প্রায় একই ভঙ্গিতে কাজ করতে হচ্ছে।
চিকিৎসকের ভাষায়, এই বাতকে আর্থ্রাইটিস বলা হয়। রোগীর প্রধান লক্ষণ হলো শরীরের বিভিন্ন হাড়, জয়েন্ট অথবা শরীরের বিভিন্ন অংশ যেমন—ঘাড়, কোমর, হাঁটু, কনুই, কবজি, রগ বা মাংশপেশির ব্যথা। নারীদের বেশি বাত ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ সময় একইভাবে বসে কাজ করা এবং বেশি ওজন বহন করায় গ্রামের নারীদের এই রোগ বেশি হয়। একই সঙ্গে পুষ্টিহীনতাও তাঁদের বাতব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার বড় কারণ। এই অবস্থায় গতকাল সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রদাহজনিত বাত রোগ পুরোপুরি ভালো হয় না। চিকিৎসা নিলে দীর্ঘ সময় ভালো থাকা যায়। নানা কারণে এই রোগ হতে পারে। তাঁদের মতে, সচেতনতা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, দীর্ঘ সময় একই স্থানে একই ভঙ্গিতে বসে না থাকা, কিছু সময়ের জন্য উঠে পায়চারি করা, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়ামসহ শরীরের পুষ্টি ঠিক রাখা, সীমিত শরীরচর্চা—এমন আরো কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে অনেকটাই ভালো থাকা যায়। আমরা মনে করি, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বাতব্যাধির নিদানিক চিকিৎসার পাশাপাশি প্রতিরোধমূলক পরামর্শ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে পর্যাপ্ত উদ্যোগ নেওয়া হবে।