English

23 C
Dhaka
বুধবার, জানুয়ারি ২২, ২০২৫
- Advertisement -

পরিষেবা নিশ্চিত করুন: বিনিয়োগ করে চাপে ব্যবসায়ীরা

- Advertisements -
বিনিয়োগ যেকোনো দেশের শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নতির একটি বড় বিষয়। বিনিয়োগ ব্যক্তি খাতে যেমন হতে পারে, তেমনি হয় রাষ্ট্রীয় খাতে; যেটি সরকারের বিনিয়োগ। যেকোনো দেশে ব্যক্তি বা বেসরকারি বিনিয়োগই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে বেসরকারি বিনিয়োগ, বেসরকারি ব্যবসা ও শিল্প বিশেষ অবদান রাখছে।
পুরো বিষয়টিই হচ্ছে ব্যবসা। যে দেশ যত ব্যবসাবান্ধব, সেই দেশের অর্থনীতি তত সমৃদ্ধ।
ব্যবসার জন্য কিছু শর্তপূরণ প্রয়োজন। প্রথমত, পরিবেশ লাগবে।
ব্যবসার আবহের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। ব্যবসা শুরু করার বিষয়টিই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, সরকারি-বেসরকারি উভয় ধরনের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের শিল্পোদ্যোক্তারা গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির মতো ইউটিলিটি সুবিধা পাচ্ছেন না। পাচ্ছেন না শিল্প চালুর সুযোগ।
সাত বছর ধরে জমি ইজারা নিয়েও বিনিয়োগে আসেনি বহু কম্পানি। উদাহরণ, দেশের শিল্পনগরী চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। দেশ-বিদেশের বড় বড় কম্পানি এখানে কারখানা করার জন্য জমি ইজারা চেয়েছিল। অর্থনৈতিক অঞ্চলের নানা সুবিধার আশ্বাসে আকাশচুম্বী দামে জমি ইজারা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ব্যাংক থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেন উদ্যোক্তারা।
অথচ কারখানা স্থাপনের পর বছরের পর বছর চলে যায়, কিন্তু এসব সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কারখানা চালু করার আগেই তাঁরা এখন খেলাপি হওয়ার পথে।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, লাল ফিতার দৌরাত্ম্য আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় উদ্যোক্তাদের শিল্প গড়ার উচ্ছ্বাসে জল ঢেলে দেওয়ার মতো অবস্থা। উচ্চ সুদে ব্যাংকঋণ নিয়ে যখন মাঝপথে আটকা, চালু হচ্ছে না শিল্প; তখন ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তি দিতে চাপ। অনেক উদ্যোক্তা শিল্প চালু না করেই এখন ঋণখেলাপি হওয়ার খাতায় নাম লিখিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইকোনমিক জোন করার সময় পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ব্যবস্থা একই সঙ্গে করা দরকার ছিল।
সেটি করলে এখন শিল্প-কারখানাগুলো চালু করতে কোনো সমস্যা হতো না। মিরসরাইয়ে যেহেতু জমি অধিগ্রহণ, প্লট বরাদ্দ ও শিল্প স্থাপনের কাজগুলো এগিয়ে গেছে, সেহেতু সেখানে শিল্প চালু করতে দ্রুত পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগ নেওয়া উচিত। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, যাঁরা বিনিয়োগ করেছেন, তাঁরাও দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অবকাঠামোগত সুবিধার অভাব নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন।
কেউ কেউ পরিষেবা পেলেও অনেক বিনিয়োগকারীর ব্যাংকঋণ নিয়ে করা বিনিয়োগ স্থবির হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাংকঋণ নিয়ে উৎপাদনে যেতে না পারায় তাঁদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সংকটে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, তাঁরা সরকারের প্রলোভনে পড়ে শিল্পে বিনিয়োগ করে এখন রীতিমতো মহাসংকটে আছেন।
সরকারের উচিত অবিলম্বে সব ধরনের সেবা দিয়ে কারখানা চালুর ব্যবস্থা নেওয়া। পাশাপাশি ঋণখেলাপি থেকে রক্ষা করতে নীতিমালা জারি করা।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন