শিশুরা অসুস্থ হয়ে দিনের পর দিন ভুগলেও তাদের চিকিৎসার বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়।
উদাহরণ হিসেবে গাজীপুরের টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রটির (কারাগার) কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, এই কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে ধারণক্ষমতার সাড়ে তিন গুণ বেশি বন্দি বা নিবাসী রয়েছে। কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র নানা সংকটে জর্জরিত। একটি পাঁচতলা ও একটি দোতলা ভবনে থাকে শিশু-কিশোর বন্দিরা।
এখানে ধারণক্ষমতা ২০০ বন্দির। কিন্তু আছে ৭২৭ জন। তবে ৩০০ বন্দি থাকার অনুমোদন আছে। কেন্দ্রের চিকিৎসা কেন্দ্রে সরকারি অনুমোদিত পদ আছে দুটি। একজন নার্স ও একজন কম্পাউন্ডার। ফলে কোনো নিবাসী অসুস্থ হয়ে পড়লে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসাও পায় না।
এই প্রতিষ্ঠানে চলতি বছরের জুন মাসে একজন এবং ২৫ আগস্ট একজন বন্দি মারা যায়।
সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত কেন্দ্রটির বিভিন্ন বিভাগেও আছে লোকবলের সংকট। প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ আছে ৬৩টি। বর্তমানে কর্মরত আছেন ৩১ জন।
চাইল্ড সেনসিবল প্রটেক্ট ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় কর্মরত আছেন সাতজন। প্রতিষ্ঠানটির নিরাপত্তার জন্য ৫৫ জন আনসার সদস্য কাজ করছেন।
অতিরিক্ত বন্দিদের জন্য এখানে অবকাঠামো নির্মাণ জরুরি। আমরা আশা করব, শিগগিরই টঙ্গীর এই কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের অবকাঠামো উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।