রেকর্ড অনুযায়ী খালটির দৈর্ঘ্য প্রায় এক কিলোমিটার। এখন এর প্রস্থ দাঁড়িয়েছে ১০ ফুটেরও কম। খাল দখল করে বাড়িঘর, দোকানপাট, রাস্তা বানানো হয়েছে। খালের কোথাও পানি দেখা যায় না। এটি এখন পুরোপুরি ময়লার ভাগাড়। মেয়র জানান, আজ শুক্রবার থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের সদস্য এবং স্থানীয় লোকজন নিয়ে খাল পরিষ্কারের কার্যক্রম শুরু করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা শুরুতে এটি পরিষ্কার করব। এরপর আপনাদের নিয়েই কিভাবে সুন্দর করা যায়, সেটি করব। আমি কথা দিচ্ছি, এই খালের দুই পাশে আমি আপনাদের জন্য, এই এলাকার মানুষের জন্য ওয়াকওয়ে করে দেব।’ মেয়রের এমন ঘোষণা অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। দেরিতে হলেও মিরপুরের মানুষ প্যারিস খাল নিয়ে আশাবাদী হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে নাগরিক সমাজ ঢাকার চারপাশে থাকা নদী, মহানগরীর অভ্যন্তরে থাকা খাল ও জলাশয় রক্ষার দাবি জানিয়ে আসছে। খাল রক্ষায় হাইকোর্ট দফায় দফায় নির্দেশনা দিয়েছেন। ২০১৭ সালে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ঢাকার ৫০টি খালের মূল গতিপথ ঠিক রেখে সীমানা নির্ধারণ, সংরক্ষণ, দখলমুক্ত করা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কর্মপরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দেন। কর্মপরিকল্পনায় খাল দখল ও দূষণকারীদের তালিকা তৈরি এবং খালগুলো কী অবস্থায় রয়েছে, তা উল্লেখ করতে বলা হয়। আমাদের দুর্ভাগ্য যে ঢাকার খাল উদ্ধারে এখনো আমাদের কেবল ঘোষণাই শুনতে হয়।আমরা চাই, সমন্বিত পরিকল্পনার ভিত্তিতে এবং একটি নির্দিষ্ট সময় কাঠামোর মধ্যে ঢাকার সব খাল পুনরুদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হোক।