এই অবস্থায় গতি শনিবার সকালে জোয়ারের সময় বাঁধের প্রায় ৩০০ ফুট অংশ নদীতে ধসে পড়ে। অথচ গত জুন মাসে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে এই বাঁধ জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করেছিল কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পাউবো কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের গাফিলতির কারণেই তাদের আজ এমন দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছে। ভাঙা বাঁধসংলগ্ন গইয়াতলা, উমেদপুর, হাকিমপুর, মোহাম্মদপুর, মস্তফাপুর ও পূর্ব সোনাতলা গ্রামের মানুষ এখন চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। তারা বাঁধের ভাঙা অংশ দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছে।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ চরম দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে পড়বে। নোনা পানির আগ্রাসনে তারা বসতবাড়ি ও কৃষিজমি হারাবে। বেশির ভাগ মানুষ উদ্বাস্তু জীবন শুরু করতে বাধ্য হবে। শুধু তা-ই নয়, উপকূলীয় এলাকায় মিঠা পানির মাছ এবং জলজ প্রাণী ও মিঠা পানিভিত্তিক উদ্ভিদ পর্যন্ত অস্তিত্ব হারাবে।
এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ উঁচু, প্রশস্ত ও মজবুত করে গড়ে তোলার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই বেড়িবাঁধের এমন নাজুক অবস্থা কেন?
স্বাভাবিক জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে যে বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়, সেই বাঁধ অস্বাভাবিক জোয়ার বা জলোচ্ছ্বাসের ধাক্কা সামলাবে কেমন করে? আমরা চাই, অবিলম্বে কলাপাড়ার ভাঙা বেড়িবাঁধ মেরামত করা হোক। পাশাপাশি বেড়িবাঁধ নির্মাণে যথাযথ মান নিশ্চিত করা হোক।