সম্প্রতি সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ। এই হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার প্রশ্ন নতুন করে সামনে চলে এসেছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, ‘ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতেই’ বুলবুল আহমেদ নিহত হয়েছেন। চলতি মাসেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীরের কোথাও কাঁটাতার ভাঙা, কোথাও নিচে সুড়ঙ্গের মতো ফাঁকা, আবার কোথাও আদৌ প্রাচীরই নেই। এ কারণে ভেঙে পড়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থা। আর তাই শিক্ষার্থীদের জন্য অরক্ষিত এই ক্যাম্পাস। এমন অনেক উদাহরণ দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থী শুধু নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে আসেন না। ওই শিক্ষার্থীকে ঘিরে একটি পরিবারের স্বপ্নও আবর্তিত হয়। অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো ঘটনা একটি পরিবারের স্বপ্ন ভেঙে দেয়। একটি সম্ভাবনার অপমৃত্যু হয়।
কাজেই যেকোনো মূল্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ক্যাম্পাসের শান্তি-শৃঙ্খলা অক্ষুণ্ন রাখতে মাদক ও বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ক্যাম্পাসের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পরিদর্শক টিমের নিয়মিত নজরদারি বাড়াতে হবে।