বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে নতুন কোচ ও ইঞ্জিন, কিন্তু যাত্রীদের সুরক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়ে এখনো প্রশ্ন আছে। রক্ষণাবেক্ষণেও ঘাটতি থাকছে। রেললাইন থেকে ক্লিপ, নাট-বল্টু চুরি হয়ে যায়।
শুক্রবার প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, রাজধানীর কমলাপুর থেকে জয়দেবপুর রেলপথে স্লিপার থেকে নাট-বল্টু ও ডগপিন উধাও।
পাথর সরে গিয়ে নাজুক হয়ে পড়েছে রেললাইন। এমন পরিস্থিতিতে যেকোনো সময় যেকোনো ট্রেনের লাইনচ্যুত বা অন্য কোনো দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি রয়েছে।ঢাকা-গাজীপুর অংশের টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর জংশন পর্যন্ত এলাকায় রেলপথের বিভিন্ন স্থানে অনেক স্লিপারে ক্লিপ ও ডগপিন নেই। অনেক স্থানে রেলের ফিশপ্লেটে নেই নাট-বল্টু। যেসব পিন ও নাট রয়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগ মরিচায় নষ্ট।জয়দেবপুর জংশন সংলগ্ন লেভেলক্রসিং এলাকায় তিনটি রেল পয়েন্টের সব কটির নাট-বল্টু ও ফিশপ্লেট ঢিলা। অথচ রেলপথে পয়েন্ট এরিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।কারণ পয়েন্টের মাধ্যমে ট্রেন এক লাইন থেকে অন্য লাইনে প্রবেশ করে। পয়েন্টের নাট-বল্টু বা ক্লিপ না থাকলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।আবার চলন্ত ট্রেনে পাথর ছুড়ে মারা হয়। যাত্রীদের তটস্থ থাকতে হয়। গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ-ভৈরব রেলপথের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মরাখলা নামক স্থানে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় আন্ত নগর বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক (লোকোমাস্টার) গুরুতর আহত হয়েছেন।তাঁকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।এর বাইরে রেলে নাশকতার ঘটনাও ঘটে। গত ডিসেম্বরে গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথের বনখড়িয়া এলাকায় কিছু অংশ কেটে ফেলেছিল দুর্বৃত্তরা।এরপর ঢাকাগামী আন্ত নগর ট্রেন মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হলে একজন নিহত ও পাঁচ যাত্রী আহত হয়। রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনাগতসহ রেলপথে অনেক সমস্যা রয়েছে। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে; যদিও যাত্রী নিরাপত্তা, সাশ্রয়ী পরিবহন, যাত্রীপ্রতি পরিবেশদূষণ অত্যন্ত কম হওয়াসহ নানা কারণে বিশ্বজুড়ে গণপরিবহন হিসেবে ট্রেনের কদর বাড়ছে।রেলপথে ভ্রমণে যাত্রীদের আকৃষ্ট করতে সব সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি ভ্রমণ আরামদায়ক ও নিরাপদ করতে হবে। রেলপথের নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। ট্রেনভ্রমণ নিরাপদ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।