গত বুধবার রাজধানীর রমনায় প্রতিযোগিতা কমিশনের কার্যালয়ে ভোজ্য তেল, চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতির বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক, শিল্প, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ বেসরকারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মতবিনিময়সভা হয়েছে।
সেখানে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে ভোগ্য পণ্যের দাম নির্ধারণে একটি নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করা হলে গ্রাহকদের জন্য ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা যাবে। একই সঙ্গে সরবরাহব্যবস্থা ও এলসি খোলা নিরবচ্ছিন্ন করা দরকার।
খাদ্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের দেশের মূল্যস্ফীতির জন্য চাহিদা ও সরবরাহ দুটি কারণই দায়ী। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, আমদানি ঠিক রেখে সাপ্লাই চেইন সচল রাখার মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং বাজারে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন সমন্বয়। মূল্যস্ফীতি দেশের মানুষের জীবনযাত্রায় বড় প্রভাব ফেলছে। তাই পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ‘ভোক্তাবান্ধব, জনবান্ধব’ নীতি গ্রহণ করতে হবে। ন্যায্য ও সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
বাংলাদেশের বাজার ব্যবস্থাপনা মোটেই সংগঠিত নয়। এর সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীকে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে দেখা যায়। কোনো কোনো সময় বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেও পণ্যের দাম বাড়ানো হয়। চাহিদা সামনে রেখে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কিংবা আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বেশি দামে কিনেছেন—এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে কয়েক গুণ বেশি দামে পণ্য বিক্রি করেন।
পণ্যের, বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের দেশের মূল্যস্ফীতির জন্য চাহিদা ও সরবরাহ দুটি কারণই দায়ী। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, আমদানি ঠিক রেখে সাপ্লাই চেইন সচল রাখার মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও বাজারে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি রোধ, যা দেশের মানুষের জীবনযাত্রায় বড় প্রভাব ফেলছে। তাই পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে হবে।