অনিয়ন্ত্রিত বালু উত্তোলনের কারণে এরই মধ্যে পৌর শহরের আন্ধারমানিক, জয়নগর ও পৌলী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইজারা দেওয়া হয়েছে নদীর মাঝ বরাবর, কিন্তু ইজারাদাররা ড্রেজার দিয়ে বালু কাটেন নদীর কিনারায়।
এসব ক্ষেত্রে প্রশাসনের তদারকি নেই বললেই চলে। প্রায় একই ধরনের অবস্থা চলছে মান্দা উপজেলায় আত্রাই নদীতে। সেখানে বালু উত্তোলনে বাধা দিতে গিয়ে গ্রামবাসী কয়েক দফা হামলারও শিকার হয়েছে।
নির্মাণসামগ্রী হিসেবে বালুর চাহিদা দিন দিনই বাড়ছে এবং বাড়তেই থাকবে। সেই চাহিদা মেটাতে বৈধ ও পরিকল্পিত উপায়ে বালু উত্তোলন বাড়াতে হবে। কোন নদী থেকে কতটুকু বালু উত্তোলন করা যাবে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে তার পরিকল্পনা তৈরি করে বালু উত্তোলনের জন্য ইজারা দিতে হবে।
পাশাপাশি সেই কার্যক্রম নিয়মিত তদারকি করতে হবে। বালু উত্তোলন নিয়ে বর্তমানে যে ধরনের অরাজকতা চলছে, অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে।