আর এই অপরাধের শিকার হচ্ছে মূলত ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী মানুষ। গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০২৩ সালে দেশে সাইবারজগতে পর্নোগ্রাফি বিষয়ক অপরাধ বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে। সাইবার অপরাধের শিকার হওয়া ১১.৩৫ শতাংশই পর্নোগ্রাফি অপরাধের শিকার হয়েছে।
আর্থিক প্রতারণাও করা হচ্ছে বহু মানুষের সঙ্গে।
সিক্যাফের গবেষণা বলছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কাছে অভিযোগ করা ভুক্তভোগীদের মধ্যে ১২.৫০ শতাংশ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি। অভিযোগ করেও কোনো ধরনের সুফল পায়নি বলে জানিয়েছে ৮৭.৫০ শতাংশ ভুক্তভোগী।
প্রযুক্তি এগিয়েছে। দেশে-বিদেশে নানা রকম যোগাযোগ হচ্ছে। বহু তরুণ-তরুণীর আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে তারা বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। ই-কমার্সের সুবিধা ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। মনে রাখতে হবে, তথ্য–প্রযুক্তি যত এগোবে, এর অপব্যবহারও ততই বাড়বে। তাই তথ্য–প্রযুক্তির সুবিধা সম্প্রসারণের পাশাপাশি সাইবার অপরাধ দমনে আমাদের আরো বেশি সক্রিয় হতে হবে।
অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালী সাইবার স্কোয়াড গড়ে তুলতে হবে। তথ্য–প্রযুক্তির সুবিধা যেহেতু গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে যাচ্ছে, তাই সারা দেশের থানা পর্যায়ে প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ দমনের সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোরও উদ্যোগ নিতে হবে।