English

14 C
Dhaka
শুক্রবার, জানুয়ারি ৩, ২০২৫
- Advertisement -

দ্রুত বিচার নিশ্চিত করুন: পারিবারিক সহিংসতা বেড়েছে

- Advertisements -
দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পাশাপাশি মানুষের মধ্যে অসহিষ্ণুতা অস্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। প্রায়ই লক্ষ করা যাচ্ছে, এক শ্রেণির মানুষ আইন হাতে তুলে নিয়ে এমন নিষ্ঠুর ও নির্মম ঘটনার জন্ম দিচ্ছে, যা কোনো সভ্য সমাজে মেনে নেওয়া যায় না। সাম্প্রতিক সময়ে পারিবারিক মতবিরোধের জের ধরে হত্যার প্রবণতাও বাড়ছে।পারিবারিক সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
বগুড়ায় আবাসিক হোটেলে স্ত্রী ও ১১ মাস বয়সী সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দি করে রেখে পালানোর সময় একজনকে আটক করা হয়েছে। শিশুসন্তানের ছিন্ন মস্তকটি এর আগেই নদীতে নিক্ষেপ করেছেন পাষণ্ড বাবা। পাবনার ঈশ্বরদীর বাঘইল পশ্চিমপাড়ায় তালতলা-পাকশী ইউপিজেড সড়কে মাদকাসক্ত স্বামীর ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন গার্মেন্টস কারখানার এক কর্মী। রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে এক প্রবাসী তরুণের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তাঁর বুক ও গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই তরুণ জাপানপ্রবাসী ছিলেন বলে জানিয়েছে তাঁর স্বজনরা। সম্পর্কের দ্বন্দ্বে কানাডা থেকে এক তরুণী ঢাকায় এসে পরিকল্পিতভাবে এই তরুণকে হত্যা করে ফের কানাডায় চলে গেছেন বলে স্বজনদের ধারণা। মৃতদেহের পাশ থেকে হাতে লেখা একটি চিরকুট ও স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত রবিবার সকালে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সদর উপজেলার মনতলায় সুতিয়া নদীর সেতুর নিচে একটি লাগেজে পাওয়া গেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর খণ্ডিত লাশ। লাশের মাথা ও পা দুটি আলাদা ছিল।
পারিবারিক সহিংসতা একটি গুরুতর সমস্যা। গণমাধ্যমে প্রায় প্রতিদিনই পারিবারিক সহিংসতার খবর প্রকাশিত হয়। আমরা দেখছি, পারিবারিক কলহের জেরে সন্তান তার মাকে খুন করছে, বাবাকে হত্যা করছে, এক ভাই আরেক ভাইকে খুন করছে, ভাই তার বোনকে মারছে।
স্বামী হত্যা করছেন স্ত্রীকে। এমনকি শিশুসন্তানকেও হত্যা করা হচ্ছে। এ ধরনের নৃশংস অপরাধের পেছনে মূলত কাজ করে মূল্যবোধের অবক্ষয়। যথাযথ প্রয়োগের অভাবে আইনের প্রতি অবজ্ঞা বাড়ছে। সেই সঙ্গে সামাজিক বন্ধন ক্ষয়িষ্ণু বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
আমাদের সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম পরিবার। সেই পরিবারে যখন সহিংস আচরণ ঘটে, তখন শুধু পরিবারই নয়, সমাজও অস্থির হয়। পারিবারিক সহিংসতা সংশ্লিষ্ট অপরাধ ও সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধ করতে হলে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি আমাদের সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করার দিকে অনেক বেশি কাজ করতে হবে।

পারিবারিক সংঘাত দ্বারা সৃষ্ট ঝুঁকির কারণ চিহ্নিত করতে এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়নে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।আমরা মনে করি, এসব নির্মম হত্যাকাণ্ডের জন্য যারা দায়ী, তাদের অচিরে গ্রেপ্তার করে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একটি সমাজে যখন যেকোনো ধরনের অপরাধের বিচার নিশ্চিত করা হয়, তখন সমাজে বসবাসকারী অন্যদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা কমে আসে। আর যদি যথাযথ বিচারের সম্মুখীন না করা হয় তথা বিচার না হয়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়তে থাকে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

আজকের রাশিফল

খালেদা জিয়ার বাসায় সেনাপ্রধান

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন