English

23 C
Dhaka
সোমবার, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫
- Advertisement -

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনুন: বাজার অস্থিতিশীল

- Advertisements -
বর্তমান সময়ে মানুষের যেসব দুশ্চিন্তা ও দুর্ভাবনা রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। নিম্ন আয়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ আয় ও ব্যয়ের সামঞ্জস্য হারিয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। পরিবারের সদস্যদের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে না পেরে তারা হতাশায় নিমজ্জিত হচ্ছে। সংগত কারণেই তারা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
নতুন সরকারের সামনেও এটি একটি প্রধান চ্যালেঞ্জ। আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ছে। রোজার আগে আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার কিছু উদ্যোগও নিচ্ছে।

কিন্তু বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এমন দুর্বল উদ্যোগে বাজার ভোক্তাদের নাগালে আসবে না।জানা যায়, এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এর পরও এভাবে দাম বাড়ছে কেন, তা সংশ্লিষ্টদেরও বোধগম্য নয়।

প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, হুট করেই চালের দাম ৫০ কেজির বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে প্রশাসনের নানামুখী তৎপরতায় পাইকারি পর্যায়ে দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা কমলেও খুচরায় তার কোনো প্রভাবই পড়েনি।

অন্যদিকে পবিত্র রমজান মাস আসতে আর মাত্র মাস দেড়েক বাকি। এরই মধ্যে বাজারে ডাল, ছোলা, খেজুর, চিনিসহ রমজানে চাহিদা বেশি এমন প্রতিটি পণ্যের দাম দফায় দফায় বেড়ে চলেছে।

জানা যায়, রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আমদানি শুল্ক হ্রাস করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছে।বৃহস্পতিবার এনবিআর চেয়ারম্যান নিজেই এই তথ্য জানিয়েছেন। কিন্তু তাতে কি বাজার স্বাভাবিক হবে?

বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের বাজার অস্থির হয় মূলত ব্যবসায়ীদের নানা ধরনের সিন্ডিকেট ও মজুদদারির কারণে। তাদের অতিমাত্রায় লোভের বলি হয় সাধারণ ভোক্তারা।

এর ভূরি ভূরি প্রমাণ অতীতে দেখা গেছে। ভারতে যেদিন ঘোষণা দেওয়া হয় যে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করা হবে কিংবা দাম বাড়ানো হবে, সেদিনই দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।

কোনো কারণে পরিবহন বাধাগ্রস্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে বাজারে দাম বেড়ে যায়। এখানে নীতি-নৈতিকতা কোনো কিছুই কাজ করে না।

গত বুধবার নওগাঁর মান্দায় অভিযান চালিয়ে দুটি গুদাম থেকে সোয়া দুই কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকার ভোগ্যপণ্য পাওয়া গেছে, যেগুলো অবৈধভাবে মজুদ করা হয়েছিল। খোঁজ করলে সারা দেশে এ রকম বহু অবৈধ মজুদ পাওয়া যাবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের অভিযান চালানোর প্রয়োজন আছে। একই সঙ্গে প্রয়োজন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ ও তা মেনে চলতে বাধ্য করা। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের সামঞ্জস্য নিশ্চিত করা। সে জন্য সময়মতো আমদানির উদ্যোগ নেওয়া।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন