অথচ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে এই অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে। কিন্তু ধর্ষণ বন্ধ হয়নি।
বগুড়ার শিবগঞ্জে এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। মারাত্মক দগ্ধ ওই ছাত্রীকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর বক্তব্য উল্লেখ করে তার চাচা জানান, গত শুক্রবার ছাত্রীর মা-বাবা তার নানাবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। এ কারণে বাড়িতে সে একাই ছিল। দুপুরে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় অন্য এলাকার এক তরুণ তাদের বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন।এক পর্যায়ে ওই কিশোরী অচেতন হয়ে পড়লে অভিযুক্ত তরুণ ঘরে থাকা পাট ও কাপড় ভুক্তভোগীর শরীরে পেঁচিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে।নুসরাত জাহান রাফির কথা মনে আছে আমাদের। মাদরাসার অধ্যক্ষের যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিল মেয়েটি, অবশেষে দেশের মানুষকে কাঁদিয়ে বিদায় নিয়েছিল পৃথিবী থেকে। কেরোসিনজাতীয় দাহ্য পদার্থ তার শরীরে ঢেলে আগুন দেওয়া হয়েছিল।চলন্ত বাসে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। এসব ঘটনা আমাদের সামনে যে বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়েছে, তা হলো সমাজ এখনো অন্ধকারেই রয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক শ্রেণির ধর্ষকের পারিবারিক, সামাজিক ও নৈতিক শিক্ষা থাকে না।আরেক শ্রেণি সচেতনভাবে, পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ করে। চিহ্নিত সন্ত্রাসী বা গ্যাং ধর্ষণ করে। তারা মনে করে, প্রভাবের কারণে কিছু হবে না। সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় তো আছেই, সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মাদকের আগ্রাসন।কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। সব ধর্ষণের ঘটনার দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে। অপরাধীদের অপরাধী বিবেচনা করে আইনের কঠোর প্রয়োগ এই অপরাধ দমনে কার্যকর হবে বলে আমরা মনে করি।আমরা আশা করব, সবার সম্মিলিত চেষ্টায় সামাজিক দুর্বৃত্তদের দমন করা কঠিন হবে না। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক ও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।