প্রথমে তাঁকে দুবাই নিয়ে ৯ দিন রাখা হয়। সেখান থেকে ওমানে নিয়ে রাখা হয় ছয় দিন। এরপর তিন দিন মিসরে রেখে নেওয়া হয় লিবিয়ায়। সেখানে নিয়েই তাঁকে মাফিয়াদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
এরপর চরম নির্যাতন করা হয়। পা ওপরে বেঁধে ঝুলিয়ে মারধর করা হয়। দেশে ভিডিও কল দিয়ে সেসব দেখানো হয়। তাঁকে সাড়ে সাত লাখ টাকা মুক্তিপণও দিতে হয়েছে।
ইতালি পাঠানোর কথা বলে নেওয়া হয়েছিল চট্টগ্রামের বিল্লাল মাহমুদকে। দালালরা বলেছিল, ভিসা দেবে, বৈধ কাগজপত্র দেবে এবং চাকরি দেবে। তারা বিল্লালকেও লিবিয়ায় নিয়ে মাফিয়াদের কাছে বিক্রি করে দেয়। ১০ লাখ টাকা দিয়ে তাদের কাছ থেকে ফিরে আসতে হয়েছে। এমন অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই।
মানবপাচারের এমন ভয়ংকর সব কাহিনি নতুন নয়। দালালদের মাধ্যমে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমাতে গিয়ে সাগরে ডুবে প্রাণ দিতে হয়েছে শত শত তরুণকে।
মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের গভীর জঙ্গলের গণকবরে ঠাঁই হয়েছে বহু তরুণের। আফ্রিকার মরুভূমিতে অনাহারে, তৃষ্ণায় প্রাণ গেছে অনেকের। ভূমধ্যসাগরেও প্রাণ গেছে শত শত বাংলাদেশির।
তার পরও এই ভয়ংকর মানবপাচার বন্ধ হচ্ছে না কেন? বিশেষজ্ঞরা এ জন্য মানব পাচারবিরোধী অভিযানের দুর্বলতাকেই দায়ী করছেন। সেই সঙ্গে আছে বিচারিক প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা।
এই ১৫১ জন কোন কোন দালালের মাধ্যমে বিদেশে গিয়েছিল তাদের সবাইকে খুঁজে বের করতে হবে। তাদের বিচারিক প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে হবে। পাচারের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।