সাম্প্রতিক সময়ে ওষুধের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। বেড়েছে অন্যান্য চিকিৎসাসামগ্রীর দামও। সরকারি হাসপাতালে বিনা মূল্যের শয্যা ছাড়া বাকি সবই কিনে আনতে হয়। ফলে দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের অস্ত্রোপচারের খরচ প্রায় লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়, যা দরিদ্র রোগীদের বহন করা প্রায় অসাধ্য হয়ে পড়ে।
রোগীদের এমন দুর্ভোগের কথা শিকার করে হাসপাতালের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও জানান, একজন রোগীর চিকিৎসা ব্যয় গড়ে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ব্যান্ডেজের গজ কাপড়, প্লাস্টার থেকে শুরু করে ওষুধপত্র, চিকিৎসা সরঞ্জাম—প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে। জানা যায়, চিকিৎসার খরচ এভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেক দরিদ্র রোগী চিকিৎসা না নিয়েই ফিরে যেতে বাধ্য হয়। সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যায়। অথচ এই হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দুই বছরের ব্যবধানে অস্ত্রোপচারের রোগী বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।
প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পায়ের পাতায় ব্যবহৃত ‘ফুট ড্রপ’ ৭০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে এক হাজার টাকা, হাঁটুর টুপি বা নি ক্যাপের দাম ২১০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৫০ টাকা, হাঁটুর বন্ধনীর দাম এক হাজার ৮০০ টাকা থেকে বেড়ে দুই হাজার ৬০০ টাকা হয়েছে। হাঁটার ক্রাচ তিন মাস আগে বিক্রি হতো ৪০০ টাকায়, এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়।