অর্থাৎ সাক্ষরতা বলতে লিখতে, পড়তে, গণনা করতে ও যোগাযোগ স্থাপন করার সক্ষমতাকে বোঝানো হয়। সাক্ষরতা নিরূপণের ক্ষেত্রে যারা লিখতে ও পড়তে পারত, তাদের সাক্ষর হিসেবে গণ্য করা হতো। যে সাক্ষরতা বাস্তবজীবনে প্রয়োগ করা যায়, সেটাই প্রায়োগিক সাক্ষরতা।
মানুষের দৈনন্দিন জীবনাচরণ ও প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন সময়ে সাক্ষরতার সংজ্ঞা, ধারণা, প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এসেছে।
তাই সাক্ষরতা শুধু অক্ষরজ্ঞানদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলেই চলবে না।
২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ২০১৪ সালের মধ্যে সাক্ষরতার হার শতভাগে উন্নীত করার লক্ষ্য তুলে ধরা হয়েছিল। মানুষ একটা লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। কিন্তু সব লক্ষ্যই শতভাগ পূরণ হয় না। লক্ষ্য পূরণে আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকলে এই সময়ে না হলেও অচিরেই আমরা লক্ষ্য পূরণের দিকে এগিয়ে যাব।